প্রতিদিনের বাছাইকৃত সব চাকরির খবর ২০২২ এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আজকের চাকরির খবর, এ সপ্তাহের চাকরির খবর থাকছে, সরকারি চাকরির খবর, পত্রিকার নিয়োগ সার্কুলার সহ নতুন সকল চাকরির সংবাদ। দেশ বিদেশের সেরা চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সবার আগে পেতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।

Full width home advertisement

Post Page Advertisement [Top]




পাট – 1 
• সারমিন:ঔ সায়রা! ওই ছেলেটাকে দেখ!কিভাবে চুলগুলো তেল দিয়ে রাখছে ইয়াকক
সায়রা: কোইরে কোন ছেলেটা?
সারমিন: আরে ঔযে ঔ ছেলেটা গেট দিয়ে যেইটা ঢুকতেছে!
সায়রা সহ ওর সব বান্ধুবি গেইট এর দিকে তাকালো দেখতে পেলো..একটি ছেলে মোটা
ফ্রেমের একটা চশমা পড়া,ঢিলেঢালা চেক সার্ট,আর কালো একটি জিন্স আর চুল ভর্তি
তেল
দিয়ে‌ কলেজে প্রবেশ করতেছে!
তানজিলা: যাই বলিস না কেন ছেলেটি কিন্তু কিউট আছে! দারি গুলো দেখতেছিস!
একদম MR. FAISU কপি ছেলেটা!
সারমিন: তোর রুচিতো এইরকমি হবে!যা না প্রেম করগে ওই ক্ষেতের সাথে!
তানজিলা: সেটা তোকে বলতে হবে না!
সায়রা: এইই তোরা থামতো! ঔটারে আজকে মজা সিখাই কি বলিস(সয়তানি একটা
হাসি দিয়ে)
সারমিন:আজকে তাইলে এইটারে করবি!(সারমিনও একটা বাকা হাসি দিয়ে)
কিছুক্ষন পরে
সায়রা: ঔ হালা এইদিকে‌ আয়(ছেলেটি উদ্দেশ্য করে)
ছেলেটি: জি আপু আমাকে বলছেন?(ছেলেটি ওদের কাছে গিয়ে)
সায়রা: হুম তোর নাম কি?
কিছুটা সময় নিয়ে বল্লো
ছেলেটি:জি আমার নাম অন্তর।
সায়রা:কোন ইয়ারে?
অন্তর: সবগুলো সার্ট পেন্ট পোরে আছে কেন?(মনে মনে)
সায়রা: ঔ হালা কস না কেন!
অন্তর: জি..জি ম..মা..মানে অনার্স প্রথম বর্ষে।
সায়রা: ওহ এই কথা! তোহ তোর নানির নাম কি?
অন্তর:আজব নানির নাম বলতে হবে কেনো?
সায়রা: তুই বলবি নাকি ঔ মেয়ের মেকাপ বক্সের সব জিনিস তোর মুখে মাখামু!
অন্তর: জি না মানে আমার নানীর নাম মনোয়ারা খাতুন(মাথা নিচু করে)
কথাটি বলার পরেই এক একটা কৈ মাছের মত লাফালাফি করে হাসা শুরু করলো।
সায়রা: হুম যা এখন পরে তোরে দেখতেছি!
ছেলেটি কোনো কথা না বলে সেখান থেকে চলে গেলো।
সারমিন: কিরে সায়রা তুই ওরে ছেড়ে দিলি কেন!
সায়রা: ওর জীবন তেজপাতা করার দায়িত্ব তোহ আমারি! আজকে না হয় ছেরে দিলাম
কালকে ধরবো ওরে।
সারমিন:সবি বুঝলাম, কিন্তু ওর জীবন তেজপাতা তুই কিভাবে করবি?
সায়রা: তুই বুঝবি না! চল ওই টাকলারে আজকে বাশটা দিয়া দি!(সয়তানি হাসি
দিয়ে)
সারমিন চল..


পাট – 2 
কিন্তু সায়রা সব ছাত্রদের টিজ করতো!  সায়রা কলেজের সবথেকে সুন্দরিও বটে।  
অনেক ছেলেই ওকে প্রপোজ করছিল কিন্তু সব গুলারে দিয়া দিছে.. I mean মাইর 
গল্পের মায়কের নাম অন্তর (ছদ্মবেশী নাম) আর সে এখনে আজকেই নতুন ভর্তি হয়ে এসেছে!

তহ গল্পে ফেরা যাক! 
সায়রা:তোরা থাক আমি ক্লাসটা করিয়ে আসি।
সারনিম: আজকে হঠ্যাৎ ক্লাস করাবি যে?
সায়রা:ঔ ক্ষেতটারে একটু টিজ করমু আরকি(সয়তানি হাসি দিয়ে)
সারমিম:হা হা হা ঠিক আছে যা!
অতপর সায়রা ক্লাসে চলে গেলো
সব ছাত্র-ছাত্রীরা:Good morning mam!
সায়রা: Good morning sit dawn all's
আমি সালহা খান্নম সায়রা।তোমাদের বাংলিশ ক্লাস সরি ইংলিশ ক্লাস নিবো আজ থেকে!
কিছু নতুন ছাত্ররা হাসাহাসি শুরু করলো কথাটা শুনে!
একজন ছাত্র বলে উঠলো ম্যাম আপনার BF আছে?
পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীরা ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়া আছে!
সায়রা ধির পায়ে ওর কাছে গেলো!
একটা মুচকি হাসি দিয়ে..
-ঔদিকে আসো বলতাছি!
ওরে বাহিরে নিয়ে গিয়ে
-জি এবার বলেন!!!!
ঠাসসসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাস ঠাস ঠাস ঠাস উরাধুরা মাইর কিল ঘুসি থাপ্পর ইত্যাদি..
অন্তর:বাবারে এইটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু এইটার থেকে দুরে দুরে থাকতে হবে(মনে মনে)
আর আগে বলে রাখি অন্তরটা অন্ন্য কেউ না আমিই নেহাল!
সায়রা: হালারপু আমার বিএফ আছে নাকি না আছে সেইটা তোরে বলতে হইবো!!
ছেলেটি:সরি ম্যাম আর হবে না ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দিন(করুন শুরে)
সায়রা: এবারের মত মাফ করে দিলাম next time যাতে এইসব করতে না দেখি! যা ছিটে গিয়ে বয়।
সেলেটি অন্তরের পাশে বসে পরলো মানে আমার পাশে বসে পরলো।
আমি: অযথা উনার সাথে লাগতে গেলে কেন?
ছেলেটি: ভাই আমি তো শুধু জিগ্গাসা করছিলাম যে বিএফ আছে কিনা তার জন্য এতো মারতে হবে?
আমি: আচ্ছা বাদ দেও, তোমার নাম কি?
ছেলেটি: আমার নাম আসিফ তোমার নাম কি?
আমি: আমি অন্তর আজকেই নতুন ভর্তি হলাম!
আসিফ: আমার ফ্রেন্ড হতে পারি? (হাত বারিয়ে দিয়ে)
আমি: হে কেনো না অবশ্যই হতে পারি কিন্তু আমাকে তুই করে বলতে হবে!
আসিফ: ওকে তাই হবে!
সায়রা: ঔ তোরা এতো কথা কছ কে!!
আমি: জি না মানে ফ্রেন্ড হচ্ছিলাম আরকি।
সায়রা: ঔ হালা বেশি কথা কছ কেন! আর আমার ক্লাসে কোনো কথা আমি শুন্তে চাইনা। তুই এখন কান
ধরে দারিয়ে থাক!
আমি: এইটা কেমন কথা!আমি তো জাস্ট ফ্রেন্ড হলাম ওর সাথে তার জন্যই কান ধরে থাকতে হবে!
সায়রা: ঠাসস
পাট – 3 
সায়রা:- ঠাসস
কি মনে করতেছেন আমাকে থাপ্পরটা দিল!
আরে না টেবিলের উপরে জরে থাপ্পর দিছে!
সায়রা:তোরে তো আজকে!
এমন সময় প্রিন্সিপাল ক্লাসে ঢুকলো।
স্যার:সায়রা এইদিকে আসো।
-জি স্যার!
স্যার: অন্তর তুমিও সামনে আসো!
কোনো কোথা না বলে স্যার এর অন্য পাশে দারালাম।
স্যার:Students ও অন্তর এর আগে খুলনা কলেজের First boy ছিলো। এখন এই কলেজে TC নিয়ে
এসেছে। ওকে তোমাদের বন্ধু বানিয়ে নিও!
সবাই: জি স্যার!
স্যার যাওয়ার পরে সবাই নিজেদের মধ্যে কানাকানি করা শুরু করলো। যেটা কিছুটা এমন ছিলো-
-এই সিহাব ছেলেটা কি ক্ষেত না!
-হুম চিহারা দেখেতো ভালো ঘরেরি মনে হয় কিন্তু ছেলে ক্ষেত!
অন্য আরো কেউ
-এই রেসমা ছেলেটার জুতা গুলো দেখ ছেন্ডেল পরে আসছে কলেজে!
-আর বলিস না কলেজটায় ওকিন্নি ফকিন্নি আইসা ভরে গেছে!
এই সব নানান কথা বলে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতেছে!
সায়রা:ঔ চুপ!(জোরে ধমক দিয়ে)
সবাই চুপ!
সায়রা: ঔ যা তুই গিয়ে বসে প!
আমি: জি ম্যাম(মথা নিচু করে)
সায়রা: ঔ তোরা দুইজন সামনে এসে ডান্স কর।(একটা মেয়ে আর একটা ছেলেকে দেখিয়ে)
ওরা সামনে যাওয়ার সাথে সাথেই ঘন্টা বেযে উঠলো!
সায়রা:ভাগ্য ভালো তোদের! আর তুই( আমাক দিকে হাত তুলে) ছুটির পরে আমার সাথে দেখা
করবি!
এইটা বলে সায়রা চলে গেলো!
আমি: ভাই এই মেয়েটা এমন কেন! ভালো ভাবে কথা বলতে পারে না? আর ওকে কলেজে চাকরি
কে দিছে?
আসিফ: আর বলিছ না! কলেজটা ওনা আব্বুর! একটু আগে যে এসেছিলো সেই ওনার আব্বু
কলেজের প্রিন্সিপাল+সভাপতি আর ম্যামের কথা নাই বলি সাপ্তায় এক থেকে দুইদিন ক্লাস করাবেন!
কিন্তু আমরা এই এক দুই দিনেই সব সিখে নি ম্যাম এর কাছে থেকে!তুই ওনার থেকে দুরে দুরে
থাকিছ।
আমি:হুমম সেটাই করতে হবে😥
দেখতে দেখতে সব ক্লাসগুলো শেষ হয়ে গেলো।
আমি:আচ্ছা আসিফ আমি গেলাম!
-ওকে যা কালকে তারাতারি এসে পরিছ
-হমম
কলেজের গেট দিয়ে বাহির হবো এমন সময় সায়রা আমার কলার ধরে ওদের আড্ডা খানায় নিয়ে
গেলো!
সায়রা: কিরে তোরে না বলছিলাম ছুটির পরে আমার সাথে দেখা করতে!
আমি: জি ন...ন...না ম..ম..ম.মানে ভুলে গেছিলাম(ভয়ে নাক দিয়ে ছস বাহির করার মত
অবস্থা)
সায়রা:তাইলে শাস্তি তো তোকে পেতে হবেই!
কান ধর আর ২৬ বার উঠবস কর!
-জি না আমি পারবো না(কিছু রাগি গলায়)
সারমিন: দেখছোত সায়রা তোর মুখের উপরে কথা হালারে পনিতে চুবা!
সায়রা: ঠাসসস ঠাসসস


পাট – 4

সায়রা:ঠাসস ঠাসস
আরে আমারে না পাশে থেকে গাছের ডাল ভাংছে!আমার কাছে এসে!
-বল কানে ধরবি নাকি পানিতে চুবামু??
-না প্লিজ এমনটা করবেন না! ওই দেখুন সবাই দেখতেছে!(করুন শুরে)
-দেখুক! তারাতারি কর নাইলে চরাইয়া কলেজ ছাড়া করামু!(সার্টের হাতা উল্টাতে উল্টাতে)
-আপু প্লিজ মাফ করে দেন আর হবে না এমন(একদম করুন শুরে)
-পাগল তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে কানে ধরাতে দিবো(সায়রা মনে মনে)
আমি: আপু প্লিজ মাফ করে দেন!
সায়রা: আচ্ছা ঠিক আছে যা কালকে তারাতাতি আইসা পরবি।
আমি সেখান থেকে যত তারাতারি সম্ভব চলে আসলাম।
দিপা:(সায়রার বান্ধুবি) কিরে ওরে ছারে দিলি কেন মজাইতো পাচ্ছিলাম!
সায়রা:না এমনি ছাড়ছি, কালকে আবার ধরবোনে।আচ্ছা এখন যাই কালে দেখা হবে!
সারমিন: কি বলিস এতো তারাতারি চলে যাবি!
-হুমম ভালো লাগতেছে না বাই!
ওরাসবাই: ওকে বাই!
এইদিকে আমি বাসায় আসলাম।দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম!
আমি:সাদমান তুই এইখানে!
সাদমান:দোস্ত তোর আব্বু হসপিটালে!
-কি বলিস কেমনে কি!
-তুই চলে আসার পরে তোর আব্বু আম্মু সব সত্যটা যানে আর তোর আব্বু পাগলের মতো তোরে খোজা
শুরু করে।কিন্তু কোথাও পায় না। আর আমি এইখানে তোর লোকেসন টেগ করে আসছি!প্লিজ মামা তুই
চল আমার সাথে তোর আব্বু আম্মু খাওয়া দাওয়া বাধ দিয়ে দিছে! আর তুই তোর এই অবস্থা করছিস
কেন??
আমি:আরে সেইটা পরে বলমুনে এখন চল যাই!
সাদমান:হুম চল!
সাদমানের গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে পারি দিলাম। রাতের 2টায় হসপিটালে
পৌছালাম!
আব্বু:কোই গেছিলি তুই! এতো রাগ বাপের উপর!(জরিয়ে ধরে আর কান্না করে)
আমি:প্লিজ আব্বু তুমি কান্না কইরো না আম্মু কোই!
-ভিতরে যা গত ৬ দিন ধরে কিছুই খায় না খালি কান্না করে! খালি বলে আমার অন্তরকে এমে দাও!
-আচ্ছা আমি যাচ্ছি!
আমি:আম্মু! আম্মু দেখো আমি আসছি!
আম্মু কিছু না বলে অন্ন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে ফেল্লো।বুঝলাম অভিমান করেছে!
আমি: মাদার তেরেসা! ও মাদার তেরেসা! বিয়ে করাবা না আমাকে?
আম্মু:সত্যিই তুই বিয়ে করবি! তাহলে আজকেই তোর আব্বুকে মেয়ে দেখতে বলি!
আমি: তা নয়তো বুঝলাম, কিন্তু দই বছর পরে এখন না!
আম্মু: আমার মনে হয় এ জীবনে আমি বউমাকে টর্চার করতে পারবো না😥
আমি: আরে মন খারাপ করো কেন? আর মাত্র ২টা বছর! দেখতে দেখতে চলে যাবে!
আব্বু: তোমাদের মা ছেলের কথা শেষ হলে চলো বাড়ি যাওয়া যাক(আব্বু ভিতরে আসতে
আসতে)


                              পাট – 5

আমি: না আব্বু আমি এখন বাসায় যেতে পারবো না!!
আব্বু: কেনো!!! কি সমস্যা বাসায় গেলে??
-না আব্বু আমি ঔখানে থেকেই কলেজে যেতে চাই এইখানে আসবো না!
-কিন্তু কেনো?এইখানে থাকলে সমস্যা কি?
-না আব্বু কোনো সমস্যা নেই! কিন্তু আমি এইখানে থাকবো না!
-এইটা কি কথা! একজন মন্ত্রীর ছেলে সে কি না অন্য যায়গাতে থাকবে!
-আব্বু প্লিজ আমাকে যালাইয়ো না! আমার মতো আমাকে থাকতে দাও!আমার একটা কাজ আছে সেটা
শেষ করেই চলে আসবো!
-আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে তুই যেটা ইচ্ছা কর!
-tnq pops(গলা জরিয়ে ধরে)
আমি আগে থেকেই যানি আব্বু এতো তারাতারি বেপারটা মানতো কিন্তু তাই একটু চাপ
দিলাম আরকি!
আব্বু: আচ্ছা কিছুদিন তো আমাদের সাথে থেকে যা!
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে! চলো আম্মু বাসায় যাই!
সাদমানের গাড়ি করে বাসায় ভলে আসলাম।সেখানে আরো দুদিন থেকে ঢাকায় আসলাম
দুদিন কলেজে যাইনা,আজকেও যাওয়া হলো না।
পরের দিন সকালে রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বারিয়ে পরলাম।
সারমিন: কিরে সায়রা গত তিনদিন ধরে তুই ঠিক মতো কথা বলতেছিস না! টিজও
করতেছিস না! বেপারটা কি বলতো!
সায়রা: আরে এমনি!ভালো লাগে নাই তাই আর টিজ করি নাই!
সায়রার চোখ হঠ্যাৎ কলেজের গেটের দিকে গেলো!
হালায় আসছে তাহলে আজকে!হালারে একটা শিক্ষা দিমু আজকে!(মনে মনে)
সায়রা: ঔ এইদিকে আয়!
আমি: জি ম্যাম(ওনার কাছে গিয়ে)
সায়রা: কৌ ছিলি গত তিন দিন!
আমি: জি মানে একটু দেশে গেছিলাম(ভয়ে পা কাপতেছে)
সায়রা:আচ্ছা ঠিক আছে যা,ক্লাসে যা!
আমি আর সেখানে না দারিয়ে ক্লাসে চলে আসলাম
সারমিন:কিরে সায়রা কি সমস্যা তোর! গত কিছুদিন তুই ঠিক মতো কারো সাথে কথা
বলিস না!টিজও করিস না!কি ব্যাপারটা কি!
সায়রা: না মানে কিছু না এমনিই। যা তোরা ক্লাস নেগা আমিও যাই। একটাই তো মাত্র
ক্লাস নি। ঠিক আছে যাই!
আরো নানান ওজুহাত দেখিয়ে সেখান থেকে ভলে আসলো!
-Good morning mam(সবাই একসাথে)
-হুম বসো সবাই
সায়রা ক্লাস করাচ্ছে আর বার বার অন্তরের দিকে তাকাচ্ছে।
ক্লাস শেষ করে সায়রা বটগাছ তলায় বসে আছে আর ভাবতেছে-
কি এমন দেখলাম আমি ওই আবুলের মাঝে! ভালোবেসে ফেলছি নাকি ওইটারে!
হোপ না ওইটারে কেমনে আমি ভালোবাসতে যামু!দুই তিন দিনেই কি ভালোবাসা যায় নাকি
ধুর আমি এইসব ভাবতাছি কেন!
এইদিকে ক্লাস শেষ করে কলেজ মাঠে হাটছিলাম এমন সময় কিছু সিনিয়র ভাই ডাক দিলো
-কোন ইয়ার(একটা বড় ভাই)
-জি ভাই ফাস্ট ইয়ার।

পাট – 6 

-কোন ইয়ার?
আমি:জি ভাইয়া ফাস্ট ইয়ার
আর একটা ভাই:বাসা কোই!
-খুলনা(চোখটা বন্ধ করে বিরক্ত সরে)
-ভাব লস কে?
-আজব তো ভাব কোথায় নিলাম?
তাদের মাঝখানে যে বসে ছিলো সে বল্লো:হালা ক্ষেত!মুখে মুখে তর্ক করোছ কেন!
না মেজাজটা গরম হইয়া যাইতেছে! তখনি প্রিন্সিপাল স্যার আসলো-
-এই সামির!তুমি এইখানে কেন যাও ক্লাস নেও গিয়ে!
-জি আব্বু!
ওহ তারমানে এই হালায় প্রিন্সিপালের ছেলে!তারমানে সায়রা ম্যাম এর ভাই! আয় হায় সালাবাবু
গুন্ডা!
হ্যা ঠিকি ভাবতেছেন আমার এইখানে আসার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে সায়রা!
কিছুদিন আগে খুলনায় ওকে একটা বিয়ে বাড়িতে দেখছিলাম তখনি ওকে আমার ভালো লাগে
সেইসময় ওর ব্যাপারে সব খোজ খবর লাগাই, আর যান্তে পারি যে সায়রা ঢাকায় থাকে আর
Olympic College এর প্রিন্সিপালের মেয়ে। তাই এইখানে চলে আসি! এইখানে আসার আর একটা
কারনও আছে.. সেটা হলো
আব্বু,আম্মু আমাকে ভুল বুঝা!
আসলে কিছুদিন আগে আমি একটা মেয়েকে কিডন্যাপ করি!
মূলত মেয়েটিকে কিডন্যাম করার হচ্ছে আমার বন্ধু রাজিব এর জন্য ওকে ভালোবাসে।
মেয়েটিও ওকে ভালোবাসে কিন্তু ওদের বাবা মা ওদের সম্পর্কটা মেনে নেয়নি।তাই মেয়েটাকে জোর
করে বিয়ে দিয়ে দিতেছিলো। তাই সেদিন মেয়েটাকে তুলে নিয়ে আসি আর রাজিব এরসাথে বিয়ে
করিয়ে দেই।
যখন বিয়ে করিয়ে ওদের নিয়ে আমাদের বাসায় যাই তখন আব্বু আম্মু আমাকে ভুল বুঝে আর
বাড়ি থেকে তারিয়ে দেয়।
আমিও সেখানে না থেকে খুলনা কলেজ থেকে টিসি নিয়ে এইখানে চলে আসি!
বাকি সব কথায় তো আপনারা যানেন!
তোহ বর্তমানে আসা যাক!
সামির ভাই:তোর খবর আছে!(আমার কাছে এসে বলে চলে গেলো)
প্রিন্সিপাল:ওর কথায় কিছু মনে করো না।
-না স্যার সমস্যা নেই!
-তোহ তোমার ফ্যামেলিতে কে কে আছে!
-জি না মানে,আব্বু আর আম্মু!
-ওহ তো তোমার আব্বু,আম্মু কোথায় থাকে?
-জি আম্মু খুলনায় থাকে
-তোমার আব্বু কি করে?
-মন্ত্রীর সব কাজ করে!
-মানে?
-জি না আসলে!মন্ত্রীর বাসায় কাজ করে!
-ওহ তাহলে বাসায় যাও
-জি স্যার
আর এক মিনিটও ওইখানে না থেকে চলে আসলাম।স্যারটা এতো প্রশ্ন কোথায় যে রাখে!
আমার জানেমনটা কোই!ওইতো বটগাছের নিচে বসে আছে!
-হায় ম্যাম!
-হায়(আনমনা হয়ে)
-কি ভাবতেছেন!
-কিছুনা,ঔ তুই এইখানে কেন যা বাসায় যা(আমারে দেখেই রাইগা গেলো বুঝলাম না কি সমস্যা)
-খাইছেন?
-চরাইয়া দাত ভাংগা ফেলমু! যা বাসায় যা!
-এমন রাগেন কেন হ্যা?ভালোভাবে বল্লেইতো চলে যাই(করুন শুরে)


পাট – 7 

সায়রা:তুই যাবি এখানতে!!
-যাচ্ছি যাচ্ছি এতো রাগেন কেন!একটু হেসেও তো কথা বলতে পারেন!হাসলে না আপনাকে
পেত্নির মতো লাগে!
(রাগানোর জন্য আসলে হাসলে ওকে কি লাগে আমি নিজেও যানি না!
এই কি বলতাছি এইসব!ও হাসলে লোকে ফাসে এতো টুকু যেনে রাখুন হুমম!)
-তোরে তো আমি!(তিরা আসছিল আমার দিকে আমি কি কম যাই নাকি দিলাম খিচ্চা দোর এক দরে
বাসায়! বাসায় এসেই ঘুম)
ওইদিকে সয়রা!
-পাগল একটা!একটু রাগছি দেখেই চলইলা গেলো!ধুর আমি ওরে নিয়ে কেন ভাবতেছি!
এইভাবেই কিছুদিন কেটে গেলো!
সায়রা:নাহ আমি ওকে ভালোবেসে ফেছি!এই আবুলটারেই আমার লাগবে!কিভাবে যে এই
আবুলরেই ভালোবাসলাম!ধ্যাত কালকে গিয়ে বলে দিবোনে(সায়রা রাতে বাসায় বসে বসে
এইসব ভাবতেছে)
এইদিকে সারমিন:না ফুকিন্নিটা সায়রার সাথে বেশিই করে ফেলতেছে!আমি কখনো একটা
ফকিন্নির সাথে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে দেখতে পারবো না!দেখি সামির ভসইয়াকে একটা ফোন
দিয়ে দেখি!

-হ্যালো সামির ভাই(সায়রার ভাই)
-হ্যা সারমিন,এতো রাতে ফোন দিলেযে?
-ভাইয়া কিছু কথা ছিলো!
-হ্যা বলো!
-ভাইয়া অন্তর নামে একটা ছেলে আছে ফাস্ট ইয়ারের ও সায়রাকে দিস্টর্ব করে!সায়রার ছাত্র বলে ছায়রা
কিছু করে বা বলে না।তাই বলছিলাম আপনি যদি ব্যাপারটা দেখতেন!
-সালারে কালকেই কলেজ ছাড়া করাচ্ছি দারাও(অনেকটা রেগে গিয়ে)
-ভাইয়া আমি বলিকি?ওকে না ডাইরেক্ট মার না দিয়ে বা কলেজ থেকে বেড় করে না দিয়ে ওকে আমরা
টর্চার করি যাতে ও নিজে থেকেই কলেজ থেকে চলে যায়!
-তা না হয় বুঝলাম কিন্তু সবার আগেতো ওকে তো সাবার চোখে খারাপ বানাতে হবে!
-হুম তাহলে কালকে ওকে........
-এইটা একটু বেশি হয়ে যাবে না?
-কি বেশি হবে!ওই গাইয়াটার জন্য এটাই ঠিক আছে!দেখছেন কি রকোম কাপড় পরে!চুল গুলো কেমন করে
রাখে!
-ঠিকি বলতাছো!
-আচ্ছা কালকে দেখা হবে!
-হুম বাই
-বাই
সকালে সায়রা একটা কলো শাড়ি পড়ে কলেজের দিকে রওনা দেয়!
ওপোর দিকে অন্তর মানে আমি রেডি হয়ে কলেজের দিকে রওনা দিলাম!
কলেজের গেট দিয়ে ঢুকবো এমন সময় সায়রার বান্ধবি সারমিন ডাক দিলো!
-এই অন্তর একটু এইদিকে আসোতো!
-জি ম্যাম বলেন!(ওনার কাছে গিয়ে)
-চলো একটু সামনের দিকে যাই!!
-ওকে ম্যাম চলেন!!
ওনার সাথে কলেজ কেম্পাসের ওইদিকে গেলাম!
-Wow what a timing!সায়রাও দেখি আসতেছে!(মনে মনে সয়তানি হাসু দিয়ে)
সামির ভাইকে হাতের ইশারায় বল্লো এখন শুরু করবে!


পাট –8
সারমিন আমার গালে একটা থাপ্পর মারলো!আর কান্না করতে লাগলো!
আমি আবুলের মত ওর কান্ড দেখতে লাগলাম।
সারমিন:যানোয়ার এইসব কথা বলতে তোর লজ্জা করে না!
আমি: কি বলতেছেন ম্যাম আমি কি করলাম!(অনেকটা অবাক হয়ে)
-এখন সাদু সাজতেছিস তাই না!ঠাসসস ঠাসসস(কষে দুইটা থাপ্পর দিলো!আওয়াজটা
এতো জোরে ছিল পুরো কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের কাছে চলে আসছে!)
সায়রা:কি হলো সারমিন তুই ওকে থাপ্পত দিলি কোন সাহসে!(সায়রা আমাদের কাছে
এসে আর সারমিন এর কাছে গিয়ে)
সারমিন সায়রাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো আর বলতে লাগলো!
-সায়রা এই জানোয়ারটা আমাকে ছুয়ার চেষ্টা করছে!আমি ওকে মানা করছি বলে ও আমাকে
তুলি নিয়ে যাবে বলছে!আর আজকে আমাকে সবার সামনে টার্চ করছে!
-এই এইখানে কি হচ্ছে!(প্রিন্সিপাল স্যার এসে)
সারমিন:স্যার এই ছেলে আমাকে...(তার পরে উনসকেও মিথ্যা কথাটা বল্লো)
সামির:বাবা ও যা বলতেছে সব সত্যি!আমরাও এইখানেই ছিলাম!ওকে দেখছি ওর
সাথে বাজে ব্যাবহার করতে আর একসময় ওই মেয়ের শরিরে হাত দেয়।
প্রিন্সিপাল স্যার:তোমরা আমার অফিসে আসো!
তারপরে সবাইকে অফিসে গেলাম!
প্রিন্সিপাল স্যার কিছুক্ষন চুপ থকে বল্লেন!
-অন্তর আমি ভাবিনি তুমি এতোটা নিচ প্রকৃতির!তোমাকে আর কিছু বলার নেই
তোমাকে আজকে টিসি দেওয়া হবে!তুমি চলে যেতে পারো!
সামির:বাবা আমি বলিকি ওকে আর একটা সুযোগ দিলে ভালো হয়!
-ওকে আর কি সুযোগ দিবো ওর মতো ছেলেকে এইখানে রাখলে আমাদের কলেজের
মানই যাবে!
-তবুও একটা সুযোগ দেওয়া দরকার!
-কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না!ওকে আজকেই বেড় করে দেওয়া হবে!এই ছেলে তুমি
এখনি এখান থেকে চলে যাও কালকে এসে টিসি নিয়ে যাবে!(আমাকে ধমকের সুরে)
আমি একবার সায়রার দিকে তাকালাম কান্নামাখা চোখে দেখলান সায়রা কান্না
করতেছে!কান্না করতে করতে চোখের কাজল পুরো মুখে লেপটে গেছে!মুখটা একেবারে
লাল হয়ে গেছে!
সেখানে না থেকে আমার ভাড়া করা বাসায় চোলে আসলাম!ভাবতে লাগলাম এইসব
করার মানে কি!কিছুই মাথাত ঢুকতেছে না, কি করবো আমি!যার জন্য এইখানে
আসা
তাকে না নিয়ে কিভানে যাই!নিজের অজান্তেই দুই চোখ বেয়ে পানি পরতে লাগলো!
ওইদিকে
সারমিন:ধ্যাত চেয়েছিলাম ওইটারে আরো যালাবো কিন্তু স্যারতো ওকে বাহিরই করে
দিলো!
সামির:যাই হোক!ভালোই হইছে সালারে সবার সামনে অপমানতো করতে পারলাম হা
হা হা!
-হুম ঠিকি বলছেন!হা হা হা কি প্লানটাই না করলাম!


পাট –9
সামির:সত্যি তোমার বুদ্ধির তুলোনা হয়না!
ওরা অট্টহাসিতে মেতে উঠলো
সায়রা:অন্তর এইটা করতে পারলো!কম ভালোবেসেছিলাম ওকে!এই কয়দিনে ওকে
নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলছিলাম!কিন্তুও! ও কি করলো ছি! এইটা করলো
কিভাবে ও!কিন্তু আমিতো ওকে ছাড়া থাকতে পারবো ন।ওর মায়াবি মুখটা যে
সবসময় আমার চোখের সামনে ভাসে!
এইসব মনে মনে বলতে থাকে সায়রা আর বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে থাকে!
ওইদিকে অন্তর মানে আমি কিছুক্ষন পরে ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাংলো!
ফোন হাতে নিয়ে দেখি আসিফ ফোন করেছে!
-হ্যালো আসিফ বল!
-অন্তর আমি যানি তুই এইসব করতে পারিস না!তুই কেনো সেই সময় প্রতিবাদ
করলি না!
-বন্ধু আমিতো কিছু বিঝতেই পারতে ছিলাম না।কি থেকে কি হয়ে গেলোআমি কিছুই
বুঝতে পারি নাই!(কান্না করে দিয়ে)
-দোস্ত তুই কাদিস না!তোকে সান্তা দেবার ময় কোনো বাক্যই আমার কাছে নেই
আচ্ছা তুই এইখানে আসলি কেন বলতো!
-এইখানে আসার আমার মূল কারনই হচ্ছে সায়রা(তারপরে সব খুলে বল্লাম ওকে)
-তাহলে সেইটা ওইখানে তো বলতে পারতি যে তুই মন্ত্রীর ছেলে!আর আমরাতো
তোর সাথেই থাকতাম!
-বাত দে ওইসব কথা!আমি সায়রা বুঝাতে পারলেই হলো!
পরে ওর সাথে আরো কিছুক্ষন কথা বলে।খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
পরেরদিন কলেজে গেলাম!
গেট দিয়ে ঢুকা মাত্রই কিছু ছেলে মেয়ে কানাকানি শুরু করে দেয়!
সেটা এমনছিল!
ক্লাসমেট:এইদেখ জংলিটা আবার আসছে!(মেয়েটা)
-সরম লজ্জা নেই!আমি হলেতো দেশ ছেরেই চলে যেতাম!
-হা হা যাই বলিস ক্ষেতটা গেছে ভালোই হইছে!চেহারা ভালোই কিন্তু!
গাইয়া!হা হা হা
সবাই হাসা শুরু করলো!
সামির ভাই:ওই ও কলেজ থেকে বাহির হলে সবগুলো একটু মালিস করে দিস!
-আরে চিন্তা করিস না এমনি ওর সাথে আমার একটা খেস আছে!কঠিন মালিস দিয়ে
দিমুনে!
আমি স্যার এর রুমের দিকে গেলাম
-স্যার আসবো!
-হ্যা আসো!বসো
আমি বসলাম!
-অন্তর আমি যানি এইখানে তোমার কোনো দোস নেই।সব সাজানো ছিলো!এই সবের
পিছনে আমার ছেলের আর ওই মেয়েটার হাত আছে!আমি এই ঘটনাটা মানতে
পারিনি তাই ব্যাপারটা ঘাটাঘাটি করে দেখি!আর আমার ছেলের ফোন থেকে কল
রেকটিং সুনি আর বুঝতে পারি যে এটা তাদের প্লান ছিলো!আমাকে মাফ করে দিয়ো
আমি যদি তোমাকে এই কলেজে রাখি তাহলে আমার সম্মান সব নষ্ট হয়ে যাবে!
-স্যার সমস্যা নেই!আমি চলে যাবো আপনি টিসি টা দিন(একটা মুচকি হাসি দিয়ে)
-আমি তোমাকে অন্য আর একটা কলেজে ভর্তি করিয়ে দিচ্ছি!

পাট –10
আমি:না স্যার তার আর কোনো দরকার হবে না।আব্বু আগের কলেজেই আমাকে
ভর্তি করে দিয়েছে।তাহলে আমি আসি স্যার!
-আচ্ছ!ভালো থেকো!
বাহিরে বের হয়ে আসলাম!কি করবো এখন কিছুই মাথায় আসতেছে না।আমি
সায়রাকে ছাড়া এখান থেকে যেতে পারবো না!ওকে যে আমার জীবনের থেকেও বেশি
ভালোবেসে ফেলছি!
আমি:ম্যাম একটু সুনবেন!
সায়রা:হ্যা বলো!(অফিস রুম থেকে এসে।চোখ দেখে স্পস্ট বুঝা যাচ্ছে যে সারারাত
কান্না করছে।)
আমি:ম্যাম বিশ্বাস করেন আমি এইসবের কিছুই জানিনা!সব ওদের সাজানো!আপনার
মনে হয় আমি এইসব করতে পারি!
সায়রা:তো এইসব আমাকে বলতেছো কেন!(একটু অভিমান সুরে)
আমি:সায়রা বিশ্বাস করো আমি এইসব করিনি!(ওর হাত ধরে)
সায়রা:হাত ছাড়ো!
-না ছারবো না!(আরো শক্ত করে ধরে)
-হাত ছাড়!(ঝাটকা মেরে)
-প্লিজ সায়রা তুমিতো আমাকে বিশ্বাস করো!
-ঠাসস বিশ্বাস তাও আবার তোকে!হাসালি!তোর মতো ভাকারিকে পায়ের নিচেই
রাখতে হয় বুকে না!তোর প্রতিটা কথাগুলো আমার মন ছুয়ে যেতো!ভালোবেসে
ফেলছিলাম তোকে!কিন্তু তোর মত লুচ্চাকে ভালোবাসা না দিতে হয়! ঠাসসস
এইটা(শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে)
-তুমি আমাকে মারো কিন্তু বিশ্বাস করো আমি এইসব কিছুই করিনি!
-তোর কোনো কথাই শোনার আমার ইচ্ছা নেই!তুই থাক আমি গেলাম!
-প্লজ আমার কথাটা শোনো!আমার এইখানে আশার প্রধান কারন হচ্ছোই তুমি!খুলনার
বিয়ে বাড়িতে..(সব খুলে বল্লাম ওকে খালি আমি মন্ত্রীর ছেলে বাদে।কারন ও
ভালোবেসেছে এই সাধারন ছেলেকে আর আমিও চাই ও এই সাধারন ছেলেকেই
ভালোবাসুক কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠলো না)
সায়রা:দেখ তোর অযুহাত আমাকে দেখাবি না!(এই বলে সায়রা চলে গেলো)
আমি মাথা নিচু করে বাহিরে যাচ্ছিলাম যেই গেটের বাহিরে যাবো অমনি কিছু ছেলে
মিলে আমাকে মারা শুরু করে!খেয়াল করে দেখলাম এইগুলো সামির ভাইয়ের
বন্ধুবান্দব!সামির ভাইয়ো পাসে দারিয়ে আছে ওনাকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিলাম
সপে দিলাম আর সরির ওনাদের!ইচ্ছা মতো মারতেছে!পা থেকে শুরু করে বুক অব্দি
হকিস্টিক দিয়ে বারি মারতেছে!কিন্তু আমার দুটি লাল চোখ খুজতেছে শুধু সায়রাকে
চোখ বেয়ে অঝরে বৃষ্টি পরতেছে।ওদের মারার জন্য না সায়রার আমাকে ভুল বুঝার
জন্য আমার বিশ্বাস ছিলো সায়রা আমাকে বুঝবে কিন্তু না সায়রাও আমাকে বুঝলো
না!হঠ্যাৎ কে যেনো পিছোন থেকে মাথা বরাবর একটা আঘাত করলো!সবাই সবার
মতো দৌড়ে পালাতে লাগলো!ঝাপসা ঝাপসা চোখে দেখলাম আশিফ আমার কাছে
দৌরে আসতেছে!

পাট –11
-আ আ আস সি ফ!আ আ ব্বু যাতে ন..না য..যান্তে পারে!(আর কিছু মনে নেই।চোখ যখন খুললাম
নিজেকে হাসপাতালে আবিস্কার করলাম।চারপাশে তাকিয়ে দেখি আসিফ আর কিছু ক্লাসমেট
আছে! আসিফ:কেমন লাগতেছে এখন?
-ভালো
-মন খারাপ করিস না সত্যি কখনো মাটি চাপা থাকে না!এক সময় না একসময় সত্যিটাসবায়
যানবেই!
-সায়রার কি খবর!
-ম্যাম দুইদিন ধরে কলেজে আসে না!
-দুই দিন ধরে মানে!
-হুম তুই দিন ধরে অজ্ঞান ছিলি!
ডাক্তার:তো আপনার জ্ঞান ফিরলো!আমরা খুবি টেনসনে ছিলাম আপনার জ্ঞান না
ফেরায় কিন্তু আল্লাহর রহমতে আপনার জ্ঞান ফিরলো!আপনি রেস্ট নিন!আপনার
অবস্থা খুবি খারাপ তাই আপনাকে এইখানে আরো এক মাস থাকতে হবে!
-জি ডাক্তার।আসিফ আমার একাউন্ট থেকে ১০ লাখ টাকা ওনাকে দিয়ে দে!একাউন্ট
কোড হচ্চে......
আর আরো ২ লাখ টাকা তোর কাছে রেখে দে।
আসিফ:হোপ এতো টাকা দিয়ে আমি কি করবো!লাগবে না আমার মতো টাকা!তোর
কাছেই রাখ এইসব আর আমি গিয়ে টাকা টা তুলে নিয়ে আসি!
দেখতে দেখতে ১ মাস চলে গেলো!
ওইদিকে সায়রার অবস্থা তেমন একটা ভালো না!খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধই করে
দিছে!এমনিতেই চিকন তার উপরে না খেয়ে একদম মোরে যাওয়ার মতো অবস্থা।
যেটুকু খায় সেটাও আব্বুর জোরাজুরিতে!সায়রার এই অবস্থা দেখে ওর ভাই নিজেকে
দোসারোপ করে!
স্যার:মা তুই এমন করতেছিস কেন খাওয়া দাওয়া টা তো কর ঠিক মত!
সায়রা:আব্বু আমার অন্তরকে তুমি আমার কাছে এনে দাও(কান্না করে দিয়ে)
-ওকে তুমি ভুলে যাও,আর একজন শিক্ষক হয়ে তুমি কিভাবে পারো একজন ছাত্রকে
ভালো বাসতে?
-বাবা আমি কিছু সুনতে চাই না আমি শুধু
অন্তর কে চাই ব্যাস!
সামির:আপু খাবারটা খেয়েনে!
-তুই চুপ কর তোর জন্য আজ আমি আমার অন্তরের থেকে আলাদা!তোদের
দুইজনকে আমি কখনি মাফ করবো না!আব্বু তুমি ওকে এখান থেকে চোলে যেতে
বলো!
-সামির তুই কলেজে চলে যা আমি ওকে নিয়ে আসতেছি
সামির:জি আব্বু
-আচ্ছা এখন হা কর!
সায়া:আগে বলো আমার অন্তরকে তুমি এনে দিবা!
-আচ্ছা দিবো!আগে হা
-ধন্যবাদ আব্বু!(জরিয়ে ধরে)
হুম ঠিকি ধরেছেন সায়রা সব যেনে গেছে!আমি কলেজ থেকে চলর যাবার পরে
সায়রা খাওয়া দাওয়া একে বারেই বন্ধ করে দেয়!তাই ওর বাবা ওকে সত্যিটা বলে
আর প্রমিস করায় যাতে উলটা পালটা কিছু না করে!
আমি:হ্যালো আসিফ কি খবর তোর!
-ভালো কিন্তু...সায়রা মিস এর অবস্থা তেমন একটা ভালো না!প্রতিদিনি আমার
কাছে এসে জিগ্গাসা করে যে তুই ফোন দিছিস কিনা?আমি বলি যে দেয়নি!

পাট –12
অন্তর:ধন্যবাদ আসিফ।
আসিফ:আরে ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই!আচ্ছা তুই কোথায় এখন???
-খুলনায় আছি ভাই!
-ওহ আচ্ছা ঠিক আছে রাখি!
-হুম!
অন্তর ফোনটা রেখে আনমনে নিকোটিনের ধোয়া উরাচ্ছে!
-অন্তর!তুই এইসব খাওয়া বাদ দিবি!(হঠ্যাৎ করে অন্তেরর বাবা ওর রুমে এসে প্রশ্নটি করলো!)
-বাবা তোমার ছেলের ছেলের যে খুব কষ্ট হচ্ছে!(কথাটি বলার সময় চোখ বেয়ে আপনাআপনিই পানি ঝরতেছিলো
অন্তরের)
-বাবা তোর কি হইছে বল আমাকে!(গালে দুটি হাত রেখে)
-বাবা তোমার ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে কিন্তু.....অন্তর সবখুলে বল্লো তার বাবাকে!!
-কি তোর গায়ে হাত তুলছে!ওদের কলেজের ঠিকানা দে আমি ওদের কলেজই বন্ধ করে দিবো!!(রেগে আগুন)
-বাবা তোমার কিছু করা লাগবে না
-কি বলিস তোর গায়ে হাত তুল্লো আর আমি চুপ করে থাকবো!!
-আব্বু প্লিজ!!
-ঠিক আছে কিন্তু এক সর্তে!!
-কি সর্ত??
-এইসব ছাইপাই খাওয়া যাবে না
-আচ্ছা ঠিক আছে।খাবো না!
-তাহলে কাল থেকে আগের কলেজে যাস
-আচ্ছা!
-নিচে আয় খেয়ে যা!!
-তুমি যাও আমি আসতেছি!!
তারপরে মন্ত্রীসাহেব চলে গেলো!
অন্তর ফ্রেস হয়ে খেয়ে এসে ঘুমিয়ে গেলো!
পরেরদিন কলেজে গেলো নিজের আগের রুপে!যেই রুপে খুলনা কলেজের প্রতিটা মেয়েকে
নিজের পিছোনে ফেলে রাখতো!
আরো একমাস কেটে গেলো!
অন্তর ভাবলো ঢাকা গিয়ে সায়রাকে একবার দেখে আসবে তাই সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যরওনা হলো
যেতে যেতে প্রায় রাত।
বাস থেকে নেমে তার ঢাকার বাসায় যেতে লাগলো রিক্সায় করে হঠ্যাৎ একটি মেয়ের
চিল্লানোর আওয়াজ পেলো!চোখ সামনে নিতেই দেখতে পেলো কিছু ছেলে একটি মেয়ের
পেটে ছরি ঢুকিয়ে দিয়ে তার পার্স নিয়ে দৌড়ে চোলে গেলো!অন্তর রিক্সা থেকে নেমে তার
কাছে গেলো তাকে ঘুরিয়ে মুখ বারাবর করতেই চোখ কপালে!পরক্ষনেই অন্তর একটি
মুচকি হাসি দিলো!
-এই মাম এইদিকে আসেন!(রিক্সাওয়ালাকে মিন করে)
-জি মামা!
-এইটাকে কি করবো!!
-মামা আপনিই ভালো যানেন!(ভয়ে কাচু মাচু হয়ে)
-হুম আমাকে সাহায্য করুন এইটাকে হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে!
-জি!

পাট –13
তারপরে
মেয়েটিকে নিয়ে আমি যেখানে ছিলাম সেই হসপিটালে নিয়ে গেলাম!
ডাক্তার:একি অন্তর তুমি!আর এই মেয়েটি কে?
-মেয়েটি আমি যেই কলেজে পড়তাম সেই কলেজের শিক্ষিকা।আর তারাতারি ওনার
ট্রিটমেন্ট শুরু করুন!
-হুম এই তোমরা ওকে আইসিইউ তে নিয়ে যাও!
নার্সগুলো:জি স্যার!
ওকে নিয়ে ICU তে নিয়ে যাওয়া হলো!
একঘন্টা পরে ডাক্তার বেড় হলো।
অন্তর উনার কাছে গিয়ে!
-ডাক্তার ওনার এখন কি অবস্থা?
-অন্তর!ওনার অবস্থা ভালো কিন্তু অতিরিক্ত রক্তখরনের ফলে উনার জ্ঞান ফিরেতেছেনা
তাই শিঘ্রই রক্ত প্রয়োজন!আমাদের এইখানে যেই কারো সেল রক্ত নেই!
- রক্তের কি গ্রুপ?
-(A+)
-আমার রক্ত(A+).আমার রক্ত নিতে পারেন।
-তাহলে ভিতরে আসো!
-হুম
অন্তর ভিতরে গিয়ে উনাকে রক্ত দিয়ে বাহিরে এসে পরলো!
প্রায় ২ ঘন্টা পরে উনার জ্ঞান ফিরলো!
-আমি কোথায়?এইখানে কিভাবে আসলাম?(আসতে আসতে)
নার্স:জি আপনি হসপিটালে।আপনাকে কিছু বাজে ছেলে রাস্তায় ছরি দিয়ে করে।
-সেটা আমি যানি কিন্তু আমাকে এইখানে কে নিয়ে আসলো?
নার্স:উনি!
অন্তর সেই সময় ভিতরে আসলো,
অন্তরকে দেখে মেয়েটি ভুত দেখার মত চোমকে গেলো!
নার্স:উনিই আপনাকে সেইসময় হসপিটালে নিয়ে আসেন!আর রক্ত দিয়ে আপনার প্রান
বাচান!উনি না থাকলে হয়তো আপনি আজকে আর বেচে থাকতেন না!
-অন্তর মাফ করে দাও প্লিজ!সত্যিই আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত!আমি নিজের ভুল বুঝতে
পেরেছি!আমি তার পরের দিনি তোমার বাসায় গেছিলাম কিন্তু গিয়ে দেখি তালা মারা!তোমার বন্ধুদের
কাছেও জিগ্গাসা করছিলাম কিন্তু ওরা কিছু বলেনি!যানো এই কয়দিন আমি ঠিক মত ঘুমাতে পারিনি
নিজেকে শুধু দোশি মনে হতো!আমার জন্যই তোমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেলো!(কান্না করে)
-আপনি কাদবেন না প্লিজ!এইসব আমার কপালে লেখা ছিলো!আচ্ছা সায়রা ম্যাম এর কি খবর
(অনেকটা আগ্রহ নিয়ে)
সারমিন:অন্তর সায়রা ভালো নেই!তোমার কথা ভেবে সারাদিন মন খারাপ করে থাকে। কলেজে যায়
না!ঠিক মতো খায় না!প্লিজ ওকে মাফ করে দিয়ে আপন করে নেও!
অন্তর:এইসব নিয়ে প্লিজ এখন কথা বইলেন না!আপনার সব ব্যাবস্থা আমি করে দিয়ে গেছি!কিছুক্ষনের
ভিতরে আপনার মামা,বাবা চলে আসবে!আমি যাই!
-অন্তর সত্যিই তোমাকে না পেলে হয়তো সায়রা মারাও যেতে পারে!
অন্তর কিছু না বলে বাহিরে চলে আসলো!দোকান থেকে এক পেকেট ছিগারেট আর
ফার্মেসি থেকে কিছু ঘুমের ঔষুধ নিয়ে শোজা ওর বাসায় চলে গেলো!বাসয় বসে ছিগারেট
খাচ্ছে আর সায়রার কথা ভাবছে!
এতো সহজে তোমাকে মাফ করছি না!অনেক কষ্ট পাইতে হইছে আমার তোমার জন্য
আমাকে!কষ্ট তো তোমাকে পেতে হবেই!

পাট –14
অন্তর এইসব ভাবছে আর ছিগারেট খাচ্ছে!
ওইদিকে সায়রা!
সায়রা:আব্বু অন্তরের কোনো খবর পেলে!
-নারে মা ওকে তো অনেক যায়গাতেই খুজলাম কিন্তু পেলাম না এমনকি খুলনাতেও
আমার কিছু বন্ধুকে বলছি খুজতে ওরা খোজ নিয়ে ওকে খুজে পায়নি!অন্তর আমাকে
বলছিল যে ওর আব্বু নাকি খুলনার মন্ত্রীর বাসায় কাজ করে তাই সেখানে আমার
বন্ধুদের যেতে বলছিলাম কিন্তু তারা ভিতরে যাইতে পারেনি!
-আব্বু আমি কিছু যানি না আমার অন্তরকে চাই মানে চাই!(চিৎকার দিয়ে)
-মা তুই শান্ত হ আমি বলছিতো ওকে এনে দিবো!
-বাবা আমি কি করে শান্ত হবো!আজ ২ মাস ওকে দেখিনা!আব্বু আমি আর পারতাছি
না!(ওর আব্বুকে জরিয়ে ধরে আর কান্না করতে করতে)
সামির নিজের বোনের এই অবস্থা দেখে আর নিজেকে দোষি মনে করে আর একলা রুমে
কান্না করতে থাকে!কারন এই প্রথম সে তার বোনেকে এতোটা কষ্ট দেখতেছে!
সমির ওর আপুর রুমে গিয়ে!
-আপু তুই প্লিজ কান্না করিস না!তোর কান্না যে একদমি আমার সয্য হয়না!
-তুই আমার রুম থেকে বের হ!!তোর চেহারা দেখলে আমার ঘৃন্না লাগে!তুই আমার
চোখের সামনে থেকে যা!(রেগে আগুন)
-আপু তোর এই পাপি ভাইটাকে একবার মাফ করে দে!তোর ভাইটাযে অনেক কষ্টে
আছে!তুই সেটা বুঝিস না!আমিতো তোর ভালোর জন্যই এইসব করছিলাম!আমি বুঝতে
পারিনি যে তুই অন্তরকে এতোটা ভালোবাসিস(দুই গালে হাত দিয়ে)
-ভাইয়া!আমি সত্যি আর পারতাছিনা!অন্তরকে যে অনেক বেশিই ভালোবেসি!(ওর ভাইকে
জরিয়ে ধরে)
-বোন তুই চিন্তা করিস না!তোর অন্তরকে আমি খুজে বের করবোই!(ওর রুম থেকে
বের হয়ে গেলো)
সকালবেলা অন্তর সোরুম থেকে একটা কালো হাইস কিনে সায়রাদের কলেজের ওইখানে
এসে গাড়িতে বসে আছে কখন সায়রা আসবে বলে!
একটু পরে দেখতে পেলো সায়রা তার আব্বুর সাথে গাড়ি করে কলেজে আসতেছে!
গাড়িতে যতদুর দেখতে পেলো সায়রায় অবস্থা আসলেই ভালো নেই!অন্তরও সেখানে আর
না থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে লাগলো!গাড়ি চলছে তার নিজ আপন গতিতে!কিছুদুর
যাওয়ার পর লক্ষ্য করলো ৪০ থেকে ৫০ জন ছেলে!
৪০ থেকে ৫০ জন ছেলেপেলে আট-নয়জন ছেলেকে ঘিরে ধরেছে!অন্তর লক্ষ্য করলো
ছেলেগুলো তারাই যারা অন্তরকে সেইদিন মেরে ছিলো!কিন্তু একজন কে এখনো দেখা
যাচ্ছে না ভিরের মাঝে!ভিরের ফাকা দিয়ে যতদুর দেখতে পেলো ছেলেটি আর কেউই নয়
সেলটি হচ্ছে সামির!
হঠ্যাৎ কেউ একজন সামিরের গলা টিপে ধরলো! তাদের কথা ছিলো এমন!
-টিজ করছ না!টিজ!তাও আবার মেয়রের মেয়েকে!দারাও তুমার টিজ আজকে ছুটাই তেছি!
ছেলেটির কথা সুনে যতদুর মনে হলো ইনি সেনাপতি!
আরেকজন:ভাই এতো কথা কোইতে হইবো কে ওগো লগে!ভৈরা দেন!(চেলা)
-না বেডা আগে স্যার এর কাছে ফোন দিতে হবে!
এমন সময় সেনাপতির মোবাইলে ফোন আসলো!
-জি জস!(সেনাপতি)
মেয়র:জস না বেডা বস!বস!(হালকা রাগি গলায়)
-সরি জস না মানে বস!

পাট –15
-হুম ছেলেগুলোর কি অবস্থা?
-বস আমার সামনেই আছে আপনি ওডার করলে ওগো হাত পা কাইটা কুত্তাগো লাগাইয়া দি!আর
কুত্তারগুলা ওগরে!
-না দরকার নেই!খালি ডোস দেও কাটা ছেরা লাগবে না!
-জি জস!
-আচ্ছা তোমার নাম কি রাখছিলাম জানি!
-নাসেল টাইগার ধন!
-চুপ বেডা!উল্টাপাল্টা কস কেন!রাসেল টাইগার ডন রাখছি!উল্টাপাল্টা কোইলে চাকরি থাকবে না!
-জি জস সরি বস!
ফোনটা পকেটে রাখতে রাখতে বল্লো!
-তোগ লাইগা আছে জস না মানে বস আমাকে বকসে!আজকে তগর পা কাইটা কান্দে
ধরাইয়া দিমু!
যাই ওদের মারতে যাবে!অন্তর ওদের গিয়ে ফিরালো!
-ওয়েট!ওয়েট!ওয়েট!
-তুই কেডা!(সেনাপতি I mean নাসেল না সরি রাসেল)
-আয়হায় কি বলেন!আমাকে চিনেন না!
-না!(বিচলিতো কন্ঠে)
-সত্যি চিনেন না!(অনেকটা অবাক হয়ে)
-না!(একটু ভয়ে)
-চিনবেন কেমনে আমি তো এইখানে থাকিই না! হা হা হা!
-কিরে হিরো সাজতাছোস!(চেলাপেলা)
-তোমার ৪০ থেকে ৫০ ছেলেপেলে!তোমাদের সাথে হিরোপান্তি করলে ভবিষ্যৎ এ ভিলেনও
হতে পারবো না!
-ওই তুই বেশি কথা কস তোরেও দিতে হইবো বুজতাছি!(সেনাপতি)
-ভাই!ভাই!ভাই! সরি ভাই!মাফ করে দেন আর ভুল হবে না!
-এখান থেকে ফুটে পর!
-না ভাই!আগে আপনার বসের নাম্বারটা দিতে হবে(পিচ্চিদের মত বায়না ধরে)
ওইদিকে সামির ওরা এদের কান্ড দেখে অবাক!
(না ফানি মুডটা চেন্জ করে সিরিয়াসে নিয়ে আসি!)
-কেন তোরে দিমু কেন!
-না দিলে ভাববো আপনি ভয় পাইছেন!
-কি আমি ভয় পাইছি!তোরে আজকে ভগার পারে পাঠামু দারা!তার আগে তোর শেষ ইচ্ছা পূরন করি!
সেনাপতি অন্তরকে ফোন নাম্বার দিলো!অন্তর নাম্বার নিয়ে ওদের থেকে একটু দুরে
আসলো!
কিছুক্ষন রিং হবার পরে মেয়র ফোন ধরলো!
অন্তর:Assalamualaikum How r u sir?
মেয়র:fine but who r u?
-জি আমি অন্তর
-অন্তর কোন অন্তর!
-জি খুলনার মন্ত্রীর ছেলে!
-ওহ তুমি রফিক স্যার এর ছেলে!আগে বলবে তো !তোমার আব্বুর জন্যই আজকে
আমি মেয়র হতে পারছি!! তোহ বলো কি জন্য ফোন দিলা!
-দিছি কি আর সাধ্যে আপনার সাংগোপাংগো আমার বন্ধুদের মারতে আসছে কেন!
-ওরা তোমার বন্ধু বান্ধব!
-জি
-ওরা আমার মেয়েকে টিজ করছে কি করে ছারি বলো ওদের!
-আচ্ছা আংকেল এইবারের জন্য মাফ করে দেন!
-আচ্ছা তুমি যখন বলছো মাফ করে দিলাম!আমি ওদের এসে পরতে বলতেছি!আর তোমার আব্বুকে
আমার সালাম দিও!
-জি আংকেল!

পাট –16
অন্তর ফোনটা রেখে ওদের কাছে গেলো!
সেনাপতি:হইছে কথা এবার মাইর খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হ!
সেই সময় সেনাপতির ফোনে ফোন আসে!কিছুক্ষন কথা বলার পরে রেখে দেয়!
সেনাপতি:সরি স্যার ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দিবেন!(অন্তরকে Mean করে)
অন্তর:হুম
-এই চল সবাই!
তারপরে ওরস চোলে গেলো!
অন্তর সেখান থেকে আসতে যাবে দেখে সব গুলো ওর পা ধরে আছে!
একজন:ভাই আমাদের মাফ করে দাও আজকে তুমি না থাকলে হয়তো আমরাও বেচে থাকতাম না!
-আরে আরে কি করতেছেন!আপনারা আমার বড় প্লিজ ইঠুন!
সবাই উঠে গেলেও একজন উঠেনি!
সামর:ভাই আমি তোমার কাছে ক্ষমা কিভাবে চাইবো তা আমি যানি না!কিন্তু আমার
বোনটাকে আর কষ্ট দিও না ওকে তোমার করে নাও প্লিজ!
-আপনি উঠুন তার পরে কথা বলেন(সমিরকে উঠিয়ে বলতে লাগলো)
-দেখুন আমি সেটা পরবো না!উনি আমার বয়সে বড় আর তারচেয়ে বড় কথা উনি
আমার শিক্ষিকা!
সামির:দেখো অন্তর ভালোবাসা বয়সে meter করে না!সায়রা তোমার ২ থেকে ৩ বছরের
বড় কিন্তু সেইটা কিন্তু বেপার না!আর ভালোভাসা যেতেই পারে সেটা শিক্ষিকা হোক বা
অন্য কিছুই!প্লিজ অন্তর আমার সাথে তুমি চলো!(হাত ধরে)
-আমি সেটা পারবো না আমাকে মাফ করবেন।আর আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি
সায়রা ম্যামকে না!
এই বলে অন্তর গাড়ি নিয়ে খুলনায় উদ্দেশ্যে চলে গেলো!
এইদিকে সামির সায়রার রুমে এসে সব খুলে বল্লো!
সায়রা:ভাইয়া আমি যানি অন্তর রাগ করে এইসব বলতেছে!অন্তর শুধু আমাকে
ভালোবাসে শুধু আমাকে!(এইসব বলতে থাকে আর পাগলামি করতে থাকে)
কিছুদিন এইভাবেই চলে যায়!
অন্তরের আব্বু:অন্তর কালকে আমার ঢাকায় একটা প্রোগ্রাম আছে তোকে আমার সাথে
যেতে হবে!
অন্তর:কিসের প্রোগ্রাম আব্বু?
-ঢাকায় একটা কলেজে!আমাকে ওইখানের প্রধান অতিথি দিছে!তাই আমি চাচ্ছি আমার
সাথে তুইও যাবি!
-না আব্বু আমি কালকে সায়রাকে দেখতে যাবো!
-সেটাতো ভালো কথা যাবি সমস্যা কি আমার প্রোগ্রাম টা শেষ করে যাস!
-আচ্ছা ঠিক আছে!
-আয় খেতে আয় তোর মা ডাকতেছে!
-আচ্ছা!
অন্তর মনে মনে প্লান করে যে কালকেই সায়রাকে নিয়ে এসে পরবে!
ওইদিকে সায়রা বাবা!
-মা কালকে খুলনার মন্ত্রী আসবে আমাদের কলেজের অনুস্ঠানে!কালকেই ওনার কাছ
থেকে অন্তরের খোজ নিবো!
-ঠিক আছে বাবা!কিন্তু অন্তরকে আমার লাগবেই!আমি ওকে ছাড়া বাচতে পারবো না!
-আচ্ছা ঠিক আছে!

পাট –17
পরেরদিন অন্তর একটা হলুদ ব্লেজার, ভিতরে সাদা গেন্জি-হলুদ
পেন্ট-ব্লাক সু-ব্লাক গ্লাস পরেছে!চুল গুলো জেল দিয়ে দার করিয়ে
প্রিয় ঘরিটা হাত দিয়ে বারিয়ে পরলো।সাথে আলাদা কাপড়এ নিছে
যাতে সায়রাকে নিয়ে আসার সময় চেন্জ করতে পারে!
এইদিকে পুরো কলেজে ছাত্র-ছাত্রী আর অবিভাবক দিয়ে ঘরপুর
একটু পরেই সারমিন স্টেজে উঠলো হাতে একটি ওইটারে কি বলে
যানি মাইক্রোফোন না কি আচ্ছা যেটাই হোক ওইটা নিয়ে সবার
দ্রিষ্টি আক্রশোন করলো!
-আজকে আপনাদের এইখানে হয়তো আনেকেই একটি কথা যানেন
না!যেটা আপনাদের যানা খুবি জরুরি।কয়েক মাস আগে
আপনারা ছাত্র-ছাত্রীরা হয়তো যানেন একটি ছেলে আমার সাথে
নষ্টামি করার‌ চেষ্টা করছে!আসলে ছেলেটি না আমিই ইচ্ছা করে
ছেলেটিকে মিথ্যা অপবাদ দিছিলাম কারন আমি ওকে আমার বেষ্ট
ফ্রেন্ড সায়রার সাথে(সায়রাকে দিখিয়ে)মেনে নিতে পারছিলাম না
আমার ভিতরে অহংকার যিনিসটা এতোই বেরে যায় যে আমি
ওকে আমার দুই চোখেই সয্য করতে পারতাম না।তাই সেইদিন
সেই মিথ্যা কথাটা বলি!আর ওকে সবার সামনে অপমান করি
কিন্তু সে এই অপমানকে গুরুত্ব দেয়নি!সেই অন্তরি আমার প্রান
বাচিয়েছে।এমনি তাকে যারা মেরেছিলো সেই ছেলে গুলেকেও সে
বাচিয়েছে!
তারপরে আরো কিছুক্ষন কথা বল্লো!
পুরো কলেজ স্তব্ধ হয়ে গেছে!বুঝতে পারতেছে তারা যে কাউকে
ছোট করে বা কোনো কিছু না যেনেই তাকে অপমান করতে
নেই
ওইদিকে অন্তর ও তার বাবা প্লেন দিয়ে এয়াপোর্ট থেকে ৪০,৪৫
টা গাড়ি নিয়ে সায়রাদের কলেজের ওইদিকে যায়।মন্ত্রী বলে কথা
কম নিয়ে যাবে নাকি!অন্তর আর ওর বাবা গাড়িতে বসে।
অন্তর:বাবা তোমার ওইখানে যেতে কতক্ষন লাগবে!
- মনে হয় ঘন্টা দুইএক লাগবে!
-ওহ
অন্তর কিছুক্ষন পরে ঘুমিয়ে গেলো!ঘুম ভাংলো আব্বুর ডাকে!
-অন্তর!এই অন্তর! ওঠ আমরা এসে গেছি!
-উমমম কোথায় আছি এখন?(চোখ ডলতে ডলতে)
চারদিকের পরিবেশ দেখে অন্তরের চোখ কপালে!
হায় হায় এইটাতো সায়রাদের কলেজ এখন কি করি!স্যারতো
এইখানে আসতে মানা করছিলো তাহলে!
আল্লাহ বাচাও আমাকে!

পাট –18
অন্তরের মুখে ঘামের বিন্দু বিন্দু ফোটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে!বুকের বা পাশে চিলিক মেরে
উঠতেছে!এক অজানা ভয় বিরাজ
করতেছে তার মনে!মনে হচ্ছে বুকের বা পাশে কেউ হাতুরি পিটা করতেছে!
ছেলের এমন অবস্থা দেখে মন্ত্রী সাহেবও কিছুটা ঘাবরে গেলেন!খুব উত্তেজিতো হয়েই জিগ্গাসা
করলেন!
-অন্তর কি হয়েছে তোর এমন ঘাবরাচ্ছিস কেন!
অন্তরের কোনো রিস্পন্স না পেয়ে গায়ে হালকা ঝাকি দিলেন!অন্তর ঝাকি খেয়ে বাস্তবে
ফিরলেন!নিজেকে স্বাভাবিক করে
তার আব্বুকে জিগ্গাসা করলেন~
-আব্বু আমরা এইখানে কেনো?(কিছুটা ভারি গলায়)
-কি বলিস!এইখানেইতো আমাকে Invite করা হয়েছে!(উনিও কিছু চোমকে গেলেন ছেলের এমন
প্রশ্ন সুনে)
-আব্বু আমি এই কলেজেই পড়তাম(মাথা নিচু করে)
-কি!এই কলেজে!এইটাকেতো একেবারে....
আর কিছু বলতে না দিয়ে অন্তর বলতে লাগলো~-বাবা প্লিজ তুমি প্রমিস করছিলে কিছু
করবে না!আমি চাইনা তাদের কোনো ক্ষতি হোক!আমি শুধু সায়রাকে চায় শুধু
সায়রাকে(বাবার হাত দুটি ধরে করুন সুরে,কান্না করে বল্লো কথাটা অন্তর)
ছেলের এমন কথা সুনে অবাক হয়ে যায় মন্ত্রীসাহেব!এই প্রথম তার ছেলেকে এতোটা ভেংগে
পরতে দেখছে দেখছেন তিনি
তিনি বুঝতে পারলেন যে কতটা ভালোবাসে সে ওই মেয়েটাকে!কখন যে তার চোখ বেয়ে
অছ্রো ঝরছে সে নিজেও যানেনা
ঝরবেই না কেনো কোনো বাবা কি তার ছেলের এমন কষ্ট দেখতে পারে!
-মেয়েটিকে খুব ভালোবাসিস নারে!(একহাত গালে দিয়ে)
-হুম(মাথা নারিয়ে)
-মেয়েটির নাম কি যেনো!
-সায়রা।
-আমার ঘরের বউমা যাতে সায়রাই হয়!(গালে দুই হাত দিয়ে)
-হুম(একটা মুচকি হাসি দিয়ে)
-কিন্ত তার আগে একটি সর্ত আছে!(অভিমানি সুরে)
-কি সর্ত(বিচলিতো হয়ে)
-ওদেরকে মন্ত্রীর ছেলেকে দেখাতে হবে! মন্ত্রীর ছদ্মবেশী ছেলেকে না!(অনেকটা রাগি গলায়)
-হুম(৩২টা দাত বাহির করে)
-তো জুনিয়র!সানগ্লাসটা পরে নাও!আর কেলমা দেখাও!
এই বলে অন্তরের বাবা সানগ্লাসটা পরে নিলো!যেমন ছেলে তেমনি তার বাপও! এককালের
আলু আরজুন!
একজন বডিগার্ড এসে বল্লেন বের হবার সময় হয়ে গেছে!
অন্তর ২৫০ লিটার সাহস নিয়ে নিলেন ভিতরে!
বাপ ছেলে দুইজন দুইপাশ দিয়ে বের হলেন!
পুরো কলেজে একটি চিল্লাপাল্লা শুরু হয়ে গেছে!সবাই ব্যস্ত হয়ে গেছেন মন্ত্রীকে দেখার জন্য
অন্তর যেই তার বাবার কাছে আসল তখন পুরো কলেজ স্তব্দ হয়ে গেলো!এ যেনো এক অন্য
অন্তরকে দেখছে তারা!চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না কলেজ
ছাত্র-ছাত্রীরা!কেউ কেউ বলাবলি করতেছে!
-এই এইটা অন্তর না!
-হুম অন্তরিতো মনে হচ্ছে!
-বাবা ওকে দেখছিস!আল্লাহ আমি তো ক্রাস খাইছি!
-তুমি বলতাছো এইটা!যেই সময় ও নরমাল কাপড় পরছিলো তুমি তো ওকে দেখতেই
পারতে না!
-আরে ওইটা ওইসময় তো...
-হইছে আর বলতে হবে না!
আরেকজন:এই তোরা থামবি!আচ্ছা অন্তর কে আসলে আর মন্ত্রীর সাথেই বা কি করছে!
-কি জানি!
সায়রা এক ধ্যানে অন্তরের দিকে তাকিয়ে আছে!এ যেনো এক অন্য অন্তর যেই অন্তরের
সাথে কোনো মিল নেই আগের
অন্তরের!ধুরু যেটাই হোক ও আসছে এটাই অনেক!কত কিউট লাগতেছে ওকে ইচ্ছা করতেছে
এখনি গিয়ে খেয়ে ফেলি
ওকে!(এইসব সায়রা ভাবছে আর মুচকি হাসছে)
প্রিন্সিপল:এই তোমারা সর ওনাকে স্টেজে আসতে দাও!
স্যার এর কথায় সবাই সরে গেলো আর অন্তর ও তার আব্বু স্টেজে উঠে পরলো!
অন্তরকে তার বাবার পাশে বসানো হলো!
কিন্তু বিপত্যি ঘটলো তখনি কারন প্রিন্সিপাল স্যার তাকে পিছোন থেকে ডাকছিলো!
স্যার:অন্তর কথা ছিলো তোমার সাথে আমার সাথে একটু আসবে!(আকুতি করে)
-আরে স্যার এইভাবে বলতেছেন কেনো!আমি আসছি!
অন্তরের আব্বু:কোথায় যাচ্ছিস তুই!
-আব্বু প্রিন্সিপাল স্যার একটু ডাকতেছে!
-ওহহ যা...
অন্তর স্যার এর কাছে গেলো।অন্তরের মনে এখন নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে!কি বলবেন
উনি!সায়রাকে কি আমার থেকে
দুর সরিয়ে দিবেন!না আমি এটা কখনোই মানতে পারবো না!সায়রাকে আমি হারাতে পারবো
না!
স্যার:অন্তর বাবা আমার মেয়েটাকে তুমি মাফ করে দেও!আমি যানি তুমিও সায়রাকে
ভালোবাসো!তোমার কাছে আমার
এইটা অনুরোধ বাবা!আমি যে আমার মেয়ের কষ্ট সয্য করতে পারতেছি না!কখনো ওকে
কোনো ছেলের জন্য কাদতে দেখিনি!তুমিই প্রথম যার জন্য ও কান্না করেছে!আমি ওকে
কখনো ওর মায়ের অভাব বুঝতে দেইনি!যেই সময় যেইটা
চেয়েছে সেইটাই দিয়েছি!প্লিজ ওকে তোমার করে নেও!আমি চাই অতি শিঘ্রই তোমাদের বিয়ে
দিতে!(অন্তরের দুই হাত ধরে কান্না করতে করতে কথাটি বল্লো স্যার)
অন্তর কি বলবে বুঝতে পারতেছে না!তাই একটু বাহানা করে বল্লো!
-স্যার আমাদের সম্পর্কটাকি সমাজ মেনে নিবে!একজন ছাত্র হয়ে কিভাবে তার শিক্ষিকাকে
সে বিয়ে করতে পারে!
-দেখো অন্তর ভালোবাসাই কোনো ভেদাবেদ থাকে না!ভালোবাসা এক অমূল্য জিনিস!এটি
কখনো ফুরায় না আর ফুরালেও
এটি পূরন করা যায় ভালোবাসা দিয়েই!তোমাদের সম্পর্কটা কলেজেই শুধু একজন টিচার আর
স্টুডেন কিন্তু বাহিরে এটি
আলাদা!তোহ প্লিজ তুমি মানা করো না!
-কিন্তু উনি তো আমার বয়সে বড়!(একটু মন খারাপের ভান করে)
-অন্তর বাবা প্লিজ!দেখো আমাদের নবী কিন্তু তার থেকে ১৫ বছরের বড় নারীকে বিয়ে
করেছিলেন!তোহ আমাদের নবী যখন বিয়ে করতে পেরেছেন তাহলে এটা‌‌ যায়েয!
আর সবচেয়ে বড় কথা তোমরা একে অপরকে ভালোবাসো!এটার থেকে বড় কথা আর কিছুই
না!
-স্যার আমি কি আপনাকে জরিয়ে ধরতে পারি!
স্যার একটি মুচকি হাসি দিয়ে অন্তরকে জরিয়ে ধরলো!কিছুক্ষন পরে অন্তরকে ছেড়ে দিয়ে~
-আচ্ছা ওনি তোমার কি হন(অন্তরের বাবাকে মিন করে)
-আসলে স্যার...
তখনি মন্ত্রী সাহেব ভাষোন দেওয়া শুরু করে!ভাষোনের এক পর্যায়ে বলতে শুরু করেন~
-আপনারা হয়তোবা কেউ জানেন না!এই কলেজে আমার ছেলেও পড়তো!কিন্তু সেটা মন্ত্রীর
ছেলে হয়ে নয় ছদ্মবেশী মন্ত্রীর ছেলে হয়ে!তার নাম হচ্ছে অন্তর!তার এইখানে আসার এক
মাত্র কারন হচ্ছে....(অন্তরের বাবা এক এক করে সব বলে দেয়)
অন্তর ভাবে বেপারটা সবাই খারাপ ভাবে নিবে কিন্তু তাকে ভুল প্রমানিতো করে সবাই
দারিয়ে করা হাত তালি দিয়ে তাকে উদ্ভাবিত করে!
মন্ত্রীসাহেব তার ছেলের কাছে এসে বলে~
-ইনি কি আমার বেয়াইসাহেব(প্রিন্সিপালকে মিন করে)
-জি আব্বু(মাথা নিচু করে)
-কেমন আছেন বিয়াইসাহেব!
-জি ভালো!আপনি খুব ভাগ্যবান অন্তরের মত ছেলে পেয়ে!
-হুমম তাহলে আমরা বিয়ের তারিখ ঠিক করে ফেলি কি বলেন!
-হুম ঠিক বলছেন!অন্তর বাবা তুমি যাও সায়রার সাথে দেখা করে আসো আমি তোমার
আব্বুর সাথে তোমাদের বিয়ের তারিখ ঠিক করি!
-জি স্যার..



পাট –19


অন্তর সরমে সেখানে আর থাকতে পারেনা! অন্তর যাচ্ছে ওর সারাপাখির কাছে!কিন্তু রাস্তা
যেনো শেষ হবার কোনো লক্ষ্যনি নেই! অন্তরের এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতেছে
তার এই খুশির সময় প্রকৃতিও তার সাথে তালমিলাচ্ছে!বয়ে যাচ্ছে চার
দিকে মিস্টি বাতাস!অন্তর উপলব্ধি করলো তার পা জরা কাপতেছে!হঠ্যাৎ মেঘের গর্জনে
সবাই যার যার মতে নিজ গন্তব্যে পারি জামালো!দেখতে দেখতেই ভরাট কলেজ শূন্য রূপ
ধারন করলো!
অন্তরের ঠিক চোখের সামনে তার সারাপাখি বটবাছ তলায় বসে আছে!অন্তর মুগ্ধ প্রায় এ
যেনো এক অন্যরকম ফিলিক্স সামনে বসা রুপসীকে দেখে নতুন ভাবে প্রেমে পড়লো তার
সবুজ কালের একটি পাতলা শাড়ি পরে আছে সায়রা!চুলগুলোছেড়ে দেওয়া!হাতে সবুজ রং 
এর চুড়ি! অন্তর ধরেই নিয়েছে এ যেনো কোনো সর্গের পরী!😊
অন্তরধীর পায়ে তার কাছে গেলো! কাছে গিয়ে তার আসার INGIT(বানান পারি না তাই
এইভাবে লিখলাম😂)দিলো!সায়রা চোমকে উঠলো!বুঝতে পারলো সায়রার পাশে কারো আগমন
ঘটেছে!ডান পাশে তাকাতেই সে রিতিমতো অবাক!
অন্তর কোনো কথা না বলে তার গালে ছোট্টো একটি চুমু দিয়ে দিলো!
অন্তরের ছোয়া পেয়ে সায়রা কেপে উঠলো!
ঠোট জোরা কাপ্তে শুরু করে দিয়েছে!পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে অন্তরে বলা শুরু করে
দিলো!
-সালা MC.BC.KP তুই এইখানে কেন!তোর সাহস হয় কিভাবে আমাকে চুমু দেওয়ার
লুচ্চা,বদমাইশ,হরিন,খরগস,পেচা,আন্ডা,কাইস্সা,হিরো আলম,ভাদাইম্মা(এক নিশ্বাসে বল্লো কথা
গুলো)
অন্তর কিছু বলছে না শুধু মাথা নিচু করে মুচকি মুচকি হাসছে!
ক্লাস রুম থেকে অন্তরের ক্লাসমেট গুলো ওদের কান্ড দেখতেছে!
সায়রা:কিরে কথা বলছ না কেন!(গায়ে হালকা ধাক্কা দিয়ে)
-গুন্ডি সব সময় গন্ডিই থাকে কখনো সদরায় না!(মনে মনে)
-কি বল্লি!আমি গুন্ডি!(কলার ধরে)
-(আয় হায় এই মেয়ে দেখি মনের কথাও বুঝতে পারে)
-হো পারি!তুই আমার সাথে থাকলে আমি তোর মনের কথানা!তোর রক্ত চলাচলের অবস্থাও
বুঝতে পারি!(কলার আরো সক্ত করে ধরে)
-আচ্ছা ঠিক আছে সরি(ভয়ে কাচু মাচু হয়ে)
-তোর সরির গুষ্টি কিলাই(বলেই ইচ্ছা মতো কিল ঘুসি থাপ্পর মারতে লাগলো)
অন্তর আর সয্য করতে না পেরে সায়রাকে নিজের বাহুডরে নিয়ে নিলো!সায়রার সব রাগ
যেনো নিমিসেই উধাও হয়ে
গেল!সায়রাও অন্তরকে জরিয়ে ধরলো!অন্তর সায়রার মাথায় আল্তো করে একটি চুমু দিলো
লজ্জায় সয়রা অন্তরের বাহুডরে
মুখ লুকালো!একটু পরে সায়রা বলতে লাগলো~
-কখনো আমাকে আর রেখে যাবা নাতো!সব সময় তোমার বুকে আমাকে আগলে রাখবে তো!বলো আর
কষ্ট দিবে নাতো!কখনো আমাকে
অবহেলা করবে নাতো!কখনো যদি দেখি তুমি আমাকে অবহেলা করতেছো তার আগেই যেনো আমি মারা
যাই!খুব বেশি ভালোবাসি তোমাকে খুব!তোমাকে ছাড়া কখনো অন্য কিছু ভাবতে পারি না!নিজের থেকে
যে বেশি ভালোবাসি তোমাকে! (কান্না করতে করতে এক নিস্বাসে বল্লো কথাগুলো)|
অন্তর কিছু না বলে কলেজে মাঠ থেকে একটা গোলাপফুল এনে হাটু গেরে বলতে লাগলো!|
-ভালোবাসি তোমাকে সারাপাখি!খুব বেশিই ভালোবাসি!গোলাপ ফুল ভালোবাসার প্রতিক!এই
গোলাপফুলকে সাক্ষী রেখে তোমাকে বল্লাম-
"তুমি চাইলে ভালোবাসার প্রতিটামুহূর্ত ছুয়ে দিবো ফুল হয়ে!শুধু একবার বলো ভালোবাসি!যে
ভালোবাসার জন্য দিতে পারি গলায় ফাসি!
ভালোবাসি তোমাকে সারাপাখি!"

সায়রা কোনো কথা বলতে পারতেছেনা!অন্তরের থেকে ফুলটা নিয়ে ওকে সেই অবস্থাই জরিয়ে
ধরলো!
অন্তর ওকে উঠিয়ে~
-এই পাগলি কান্না করতেছো কেন!কান্না থামাও প্লিজ!তোমার কান্না যে একদমি আমার সয্য
হয়না!(অন্তরও কান্না করে
দিয়ে)

-......
অন্তর:তুমি কান্না থামাবা নাকি আমি চলে যাবো!
-না না প্লিজ!আমি কান্না করবো না তবুও তুমি যেওনা প্লিজ!(চোখ মুছতে মুছতে)
অন্তর একটা মুচকি হাসি দিয়ে বল্লো!
-এইভাবে হবে না lip kiss করতে হবে!
-সরো ফাজিল!পারবো না দিতে!
-কি পারবা না!ঠিক আছে তাহলে আমি চলে যাই(অভিমান সুরে)
-এই নানা আমি দিতেছি!
এই বলে সায়রা নিজের ঠোট অন্তরের কাছে সমার্পন করলো!
কিছুক্ষনপরে
-এহেম!এহেম
সায়রা লজ্জা পেয়ে অন্তররের পিছনে গিয়ে দারালো!অন্তর লক্ষ্য করলো আসিফ,সারমিন,সামির
আর অন্তরের কিছু ক্লাসমেট
দারিয়ে আছে আর মুচকি মুচকি হাসতেছে!
সারমিন:আপনাদের শেষ হলো!
অন্তরর ক্লামেট:কেমনে শেষ হবে ম্যাম!এতোদিন পরে যে এক হলো এতো সহজে কি শেষ
হয়!(এই বলে সবাই হাসা শুরু করলো!)

কিছুদিন পরে
অন্তর ঘরের বাহিরে দারিয়ে আছে কারন ওর বাসর রাত আজকে!
একহাজারবার বুকে থুথু দিয়ে ঘরে প্রবেশ করলো অন্তর!
অন্তর:একি বউ আমার কাঠে বসে আছে কেনো!এসে সালাম করছে না কেনো!ধুর ভাল
লাগে না!কোই সে আমাকে এসে পা ধরে সালাম করবে আর আমি তার মাথায় হাত দিয়ে
বলবো!বেচে থাকো মা বেচে থাকো!না সে এ না করে খাটে বসে আছে!(মনে মনে)
অন্তর মায়াবি মুখ নিয়ে তার পায়ের কাছে গেলো!
-মানোনিয় বউ আপনার পাটা একটু দিবেন সালাম করবো!(কান্না মাখা মুখ নিয়ে)
-কি বলতাছো এইসব!সালামতো আমি তোমাকে করবো তুমি আমাকে না!(অবাক হয়ে)
-তো করলা কোই(অভিমান সুরে)
-আমার না সরম করতেছিল তোমার সামনে যেতে তাই যাইনাই!
-আচ্ছা তাহলে বেবিটা কিডন্যাপ করে আনি কি বলো(একু সয়তানি করে)
-যাও আমার লজ্জা করে!আমি পারবো না!
-কি পারবানা!তাহলে আর বিলাই মারা হলো না!(মন খারাপ করে)
-খুব বিলাই মারার ইচ্ছা না দারাও(এইবলে খাটের উপর ফেলে দিলো অন্তরকে) [বাকিটা ইতিহাস!😊]


তিন বছর পরে!

সায়রা:এই ওঠো অফিসে যাবা না!
-ওই ওই আজকে কি বার আজকেও অফিসে যামু নাকি!
-ওহ আজকে তো শুক্রবার!তবুও উঠো!আজকে না আমাদের ঘুরতে নিয়ে যাবা!
অন্তর সায়রারকে টান দিয়ে নিজের উপরে ফেলে ওকে জরিয়ে ধরে বল্লো~
-হুম যাবোতো!অরিন কোথায়?
-আম্মুর আব্বুর ঘরে মনে হয়!
-আব্বু তুমি মাম্মামকে কে জরিয়ে ধরিয়ে দরেচো কেনো!
অন্তর:আম্মু তোমার মাম্মাম একটু বেথা পাইছেতো তাই একটু পাপ্পা দিচ্ছিলাম!তুমি বলো না আব্বু পাপ্প
দিলে সব বেথা সেরে যায় তাই একটু পাপ্পা দিচ্ছিলাম!
অরিন:ওহ আচ্চা আমি দাদুর সাথে খেলা করি গিয়ে তুমি মাম্মামের বেথা ঠিক করে দাও!
-আচ্ছা আম্মু যাও!
সায়রা:এটা কি হলো!
-কিছ নাু কিন্তু এখন হবে!অরিনকে তো সামনে BIRTHDAY তাই চিন্তা করছি একটা ভাই
গিফ্ট করবো!
-যাও!(লজ্জায় কাচুমাচু)
সায়রা সরমে অন্তরের বুকে মুখ লুকালো!


ধন্যবাদ 


No comments:

Post a Comment

Advertisement