প্রতিদিনের বাছাইকৃত সব চাকরির খবর ২০২২ এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আজকের চাকরির খবর, এ সপ্তাহের চাকরির খবর থাকছে, সরকারি চাকরির খবর, পত্রিকার নিয়োগ সার্কুলার সহ নতুন সকল চাকরির সংবাদ। দেশ বিদেশের সেরা চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সবার আগে পেতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।

Full width home advertisement

Post Page Advertisement [Top]



কিছুহ্মণ পর দেখলাম অপন ভাই আরেকটা মেয়েকে ইভটিজিং করতে।।এসব দেখলে আমাদের হাত আবার ঠিক থাকে না।।তাই আমরা গাছের নিচ থেকে উঠে সেখানে গেলাম বেপারটা ভালো করে দেখার জন্য।।গিয়ে দেখলাম আসলেই আপন ভাই জুনিয়র একটা মেয়েকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করছে।।(আপন ভাই এই ভার্সিটির সিনিয়র তাই জুনিয়ররা তাকে কিছু বলতে বা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না।।তার উপরে তার বাবা বাংলাদেশের সুনামধন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন।।তখন আমি আপন ভাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম-

আমি- ভাই একটা কথা বলার কথা ছিলো।

আপন ভাই- আরে তুই যে।। তা কি বলবি বল আমার হাতে আবার বেশি সময় নেই।।এই পাখিটা আবার হাত ছাড়া হয়ে যাবে।

আমি- ভাই আপনি সিনিয়র তা মানলাম কিন্তু আপনি যেটা করতেছেন সেটা কি ঠিক হচ্ছে।

আপন ভাই- তুই নতুন এসেছিস তাই হয়তো জানিস না।।তাই তোকে বলতেছি এখানে আমি যা করি তাই ঠিক আর আমি যা ভুল বলব সেটাই ভুল।

আমি- ভাই এই মেয়েটা যদি আপনার বোন হতো আর একটা ছেলে যদি আপনার সামনে তাকে এইভাবে বিরক্ত করত আপনি কি মেনে নিতে পারতেন।

আপন ভাই- তুই কি বলতে চাচ্ছিস।।আর মেয়েটা কি তোর বোন নাকি??

আমি- না আমার বোন না।।কিন্তু অন্যকারও তো বোন।।আর আমি ভালো করেই জানি যে আপনারও ওর বয়সী একটা বোন আছে।।ধরুন এই মেয়েটার জায়গায় আপনার বোন আপনার জায়গায় আপনার অন্যকেউ তখন কি আপনি সেটা মেনে নিতে পারতেন।

আপন ভাই- যা তো এখান থেকে মাথা গরম করবি না।।এখন মজা নেওয়ার মোডে আছি ডিস্টার্ব করিস না।

আমি- ওই সিয়াম আপন ভাইয়ের বোনকে নিয়ে আয় তো,,বলার সাথে সাথেই সিয়াম তার বোনকে ক্লাস থেকে তোলে এনেছে ।

পরে আপন ভাই ওই মেয়েটাকে যা যা বলেছে আমিও ঠিক তাই তাই বললাম আপনের বোনকে।

তা দেখে আপন রেগে গেছে আর তার চোখমুখ লাল হয়ে গেছে তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।।হঠাৎই আপন ভাই তেড়ে এসে আমাকে মারতে লাগল।।সাথে আপনের বন্ধুরা আসে নি।।তখন তার বন্ধুরা এসে আপনকে বাধা দিতে লাগল।।আমার বন্ধুরাও আপন ভাইকে মারতে তখন আমি তাদেরকে বাধা দিলাম।।কয়েকটা কিল ঘুষি দেওয়ার পর আপন ভাইয়ের বন্ধুরা এসে তাকে থামিয়ে সেখান থেকে নিয়ে চলে গেলো।। তখন খেয়াল করলাম নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে মনে হয় নাকে ঘুষি দেওয়ার ফলে ব্লিডিং হচ্ছে।।কিছুহ্মণ পর সিয়াম আর আমার বন্ধুরা আমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো।।ডাক্তার আমার নাকের রক্ত পড়া আগে বন্ধ করলেন।। পরে নাকের রক্ত পরিষ্কার করলেন।।নাকে ব্যান্ডস করে দিয়ে কিছু মেডিসিন লিখে দিলেন।

ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়ার পর থেকে সবাই মিলে জিজ্ঞাসা করল যে তখন তাদেরকে বাধা দিলাম।।আমি সবাইকে বললাম যে দেখ এখানে পড়ালেখা করতে এসেছি আর ওর সাথে মারামারি করে লাভ কি??

আর শুন আমাদেরকে কুকুর কামড় দিলে কি আমরা উল্টো কুকুরকে কামড় দেই নাকি।।আমরা যেমন কুকুরকে কামড় দেই না ঠিক তেমনি আপন ভাইকেও কিছু বলি নি।। না হলে ওর মতো ১০০জন আপনও আমার কিছু করতে পারবে না।

আরেকটা কথা বাবা-মাকে আমার এই অবস্থার ব্যাপারে কিছু জানাইস না।।আর সিয়াম আমি কয়েকদিন তোর বাসায় থাকব সমস্যা হবে নাকি তোর??

সিয়াম- দূর বেটা কিসের সমস্যা।।আচ্ছা শুন আমি ভাবতেছিলাম যে কোথাও একটা টুর দেওয়া দরকার।।কারণ- তুই এখানে থাকলে তো আন্টি আসবেই তোকে দেখতে আর ডাক্তার বলেছে ৭ দিনে তর নাকের অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তাই এই ৭ দিন আমরা ঘুরব।।আগে জায়গা ঠিক কর কোথায় যাব ঘুরতে।।আজকেই আমরা বেড়িয়ে পড়ব ঘুরতে।।এখন জায়গা ঠিক হলে এখনই বেড়িয়ে পড়ব।

সুমন- বলিস কি বেটা,, বাসা থেকে কোনো কাপড়ও আনি নি তো তাহলে কিভাবে যাব??

আমি- দূর বেটা টাকা থাকতে তুই কাপড়ের চিন্তা করস কেন??

সুমন - তাহলে চল প্রথমে আমরা চট্টগ্রাম যাব ট্রেনে সেখান থেকে কক্সবাজার যাব।। তারপর সেন্টমার্টিন যাব সেখান থেকে সাজেক যাব।। আর সাজেকে অনেক মানুষ ঘুরতে যায় তো তাই সেখানের হোটেলে আগেই বুকিং করে রাখতে হয়।

আমি- আচ্ছা তাহলে একটা রুম বোকিং দে ৫ দিন পরের জন্য।।এই ৫দিন আমরা কক্সবাজার আর সেন্টমার্টিন ঘুরব।। পরে।সাজেক গিয়ে আমাদের ঘুরাঘুরি শেষ করে বাসায় চলে আসব মানে ৮ দিন লাগবে ধরতে গেলা।

সিয়াম- ওকে, তাহলে সেটাই হোক ফাহিম যেটা বলল।

সবাই- ওকে বস।

পরে সবাই নিজেদের বাসায় কল করে বলে দিলাম যে আমরা ৮ দিনের জন্য ঘুরতে যাচ্ছি।।বাসায় কল দিয়ে বলার পর সবাই মিলে শপিং মলে চলে গেলাম।।আর সুমন কমলাপুর চলে গেলো ট্রেনের টিকিট কালেক্ট করতে।।তারপর আমরা সবাই শপিং করে নিলাম।।সুমনের জন্যও কিছু কিনে নিলাম।।শপিং শেষ দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম রেস্টুরেন্ট এ।।পরে সুমনকে কল দিলাম,, সুমন বলল যে ট্রেন নাকি ৫টায় রওনা দিবে চট্টগ্রাম এর উদ্দেশ্যে তার মানে হাতে আর ১ ঘন্টা আছে।তারপর সুমনের জন্য খাবার প্যাক করিয়ে নিয়ে আমরা স্টেশন এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

কিছুহ্মণ পর স্টেশন চলে গেলাম।।পরে সুমনকে বললাম খাবার খেয়ে নিতে।।সুমন খেয়ে নেওয়ার পর আমরা গিয়ে ট্রেনে উঠলাম।

কিছুহ্মণ পর ট্রেন যাত্রা শুরু করল তার গন্তব্যে।। কয়েক ঘন্টা পর আমরা চট্টগ্রাম পৌছে গেলাম।।পরে সেখান থেকে বাসে করে কক্সবাজার চলে গেলাম।।গিয়ে হোটেলে একটা রুম বুক করলাম।।পরে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করতে হোটেলে চলে গেলাম।।হোটেল থেকে রুমে এসে দিলাম একঘুম।। দুপুরে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেড়ে রেডি হয়ে হোটেলে চলে গেলাম।।সেখান থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে রুমে এসে কিছুহ্মণ রেস্ট নিলাম।।বিকালের দিকে আমরা সমুদ্র সৈকতে চলে গেলাম বিকেলের দৃশ্য দেখতে।।কিছুহ্মণ ঘুরাঘুরি করে সবাই মিলে কিছু ছবি তুলে নিলাম।।পরে হোটেলে ফিরতে যাব এমন সময় কে জানি পিছন থেকে ডাক দিলো তাকিয়ে দেখি,,,


ছদ্নবেশী মন্ত্রীর ছেলে
লেখক : ওমর ফারুক শেখ
পার্ট - ২


পরবর্তী পর্ব পেতে লাইক, কমেন্ট করে পাশেই থাকুন।।
"ধন্যবাদ "

 

No comments:

Post a Comment

Advertisement