প্রতিদিনের বাছাইকৃত সব চাকরির খবর ২০২২ এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আজকের চাকরির খবর, এ সপ্তাহের চাকরির খবর থাকছে, সরকারি চাকরির খবর, পত্রিকার নিয়োগ সার্কুলার সহ নতুন সকল চাকরির সংবাদ। দেশ বিদেশের সেরা চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সবার আগে পেতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।

Full width home advertisement

Post Page Advertisement [Top]



উদ্যোক্তা হিসেবে স্বাভাবিক ভাবেই আপনি সব সময়েই আপনার ব্যবসার উপার্জন বাড়াইতে চাইবেন। কিছু উদ্যোক্তা একদম শুরু থেকেই খুব ভালো আয় করেন, কেউ বা একটু সময় নিয়ে সেই জায়গায় পৌছাতে পারেন। কিছু উদ্যেক্তার আয়ের হার সময়ের সাথে বাড়তে থাকে, কার ও বা  একটা জায়গায় এসে থমকে যায়। --- বাড় েও না আবার কমে ও না । 

সময়ের সাথে সাথে যাদের আয় বাড়ে, তারা আসলে কি করেন ?? কি এমন যাদু জানেন তারা যে , অন্যেরা যখন থেমে আছে বা পিছিয়ে যাচ্ছে  ----- তাদের  অ্যাকাউন্ট শুধুই ফুলে ফেপে উঠছে ??

আজ আপনাকে এমনই  ৭ টি অভ্যাসের কথা বলব---- যেগুলো চর্চা করলে আপনার আয় ও বৃদ্ধি পাবে। 


০১.ইউনিক হোন 

যেসব উদ্যোক্তা গতানুগতিক ব্যবসা করেন ---তারা বেশিরভাগ সময়েই একটা জায়গায় এসে আটকে যান। তাদের আর্থিক অবস্থা এক রকম ভাবে চলতে থাকেন। তারা হয়তো নিয়মিত আয় করেন ---কিন্তু তাদের আয়ের হার বাড়ে না। 
বিশ্বখ্যাত অনলােইন লেনদেন প্রতিষ্ঠান পে- পাল এর সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার থেইল তার বেষ্ট সেলিং বই জিরো টু ওয়ান --- এ লিখেছেন, কোন ও ব্যবসাকে যদি সবোচ্চ পর্যায়ে সফল হতে হয়, তবে অবশ্যই তার মধ্যে এমন কিছু থাকে ত হবে -- যা এর  আগে কেউ করেনি। 

আপনি যখন পুরোপুরি ইউনিক কোন ও আইডিয়া নিয়ে কাজ করবেন , অথবা প্রচলিত কোন ও ব্যবসায় ইউনিক কিছু নিয়ে আসবেন।----- তখন আপনার পণ্য বা সেবা নেয়ার জন্য মানুষের আগ্রহ বেশি থাকবে। 

ব্যাপারটা েএমন নয় যে আপনাকে একদম নতুন আইয়িা নিয়েই মাঠে নামতে হবে। প্রচলিত ব্যবসাতে ও নতুন নতুন আইডিয়া যোগ করে তাকে মানুষের চোখে ইউনিক বানানো যায়। অ্যামাজন ডট. কম এর কথাই ধরুন , এটা আসলে একটা  খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । খুচরা দোকানের আইডিয়াকেই অনলাইন এনে জেফ বেজোস  আজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী । আপনা যদি িএকটি দোকান থাকে , আপনি দোকানের ডিজাইনের একটু পরিবর্তন এনেই কিন্তু অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করতে পারেন।  

নিজের ব্যবসার বিক্রি বাড়ানোর জন্য সব সময়েই ্এমন আইডিয়ার কথা ভাবতে থাকুন, যেগুলো সরাসরি আপনার পণ্যের সাথে জড়িত না হলে ও ক্রেতা আকৃষ্ট করে। অনেক রেস্টুরেন্টেই দেখবেন বাচ্চাদের খেলার জন্য আলাদা জায়গা করা থাকে। এটা রেস্টুরেন্টের সাথে সরাসরি জড়িত না হলে ও --- এর ফলে রেস্টুরেন্টে ক্রেতা আসার পরিমান বাড়ে , ফলে আয় ও বৃদ্ধি পায়। 
আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের েএমন কোনও সমস্যা খুজে বের করার চেষ্টা করুন, যার সঠিক সমাধান এখন পর্যন্ত কেউ করেনি । দীর্ঘ মেয়াদ ব্যবসার আয়ের হার বাড়ানো জন্য এটা খুবই ভালো একটি উপায় । সব সময়ে প্রতিযোগীতাদের দিকে নজর রাখুন। তারা কি করছে --- তা দেখার পাশাপাশি , তারা কি করছে না --- এটা ও বোঝার  চেষ্টা করুন। নিজেকে যত অনন্য ভাবে তুলে ধরতে পারবেন ---ততই বেশি ক্রেতা আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। 

০২ . ঝুকি নিতে ভয় পাবেন না 
ব্যবসার আয়ের গতি কমে যাওয়ার একটা প্রধান কারণ হল অনেক উদ্যোক্তা ঝুকি নিতে অতিরিক্ত ভয় পান। ব্যবসা িএকটা স্থিতিশীল জায়গায় এসে পড়ার পর তারা আর নতুন করে কিছু চেষ্টা করতে চান না । কারণ তারা ভয় পান ব্যবসার বর্তমান লাভজনক অবস্থা এতে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। 
কিন্তু ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে হলে আপনাকে নতুন নতুন জিনিস চেষ্টা করতেই হবে। ধরুন আপনার একটি রেস্টুরেন্ট আছে। রেস্টুরেন্টের অবস্থান অনুযায়ী প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০০ জন ক্রেতা এখানে আসবে। এই রেস্টুরেন্ট থেকে আপনার নিয়মিত একটি নিদিষ্ট  হারে আয় হয়।  এখন এই আয়ের হার বাড়াতে হলে আপনাকে অন্য এলাকাতে ও এটার শাখা খুলতে হবে। 
আপনি যে ব্যবসাই করেন না  কেন, সব সময়ে সুযোগ খুজুন ব্যবসার আওতাকে আর বড় করার। এই কাজে ঝুকি থাকবেই। কিন্তু যদি নিয়মিত ব্যবসার আয়ের হার বাড়াতে চান, তবে এই ঝুকিটুকু নেয়ার মানসিকতা আপনার থাকতেই হবে। 
বিশ্বখ্যাত লেখক জেমস স্টিফেন্স এর এই উক্তিটি সব সময়ে মনে রাখবেন, নতুন কছিু করার আগ্রহ ভয় কে এমন ভাবে জয় করে, যেমন টা সাহস দিয়ে ও সম্ভব নয়। 

০৩. টাইম ম্যানেজমেন্ট 

মানুষের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু হল সময়। জীবনের  যে কোন ও ক্ষেত্রেই সময়ের মূল্য যতটা, ততটা মূল্য কোন ও কিছুরই নেই ।  ব্যবসার ক্ষেত্রে  এই কথাটা আর ও ভালো করে খাটে। 
যেকোন সফল উদ্যোক্তাই দারুণ ভাবে টাইম ম্যানেজমেন্ট করেন। তারা জানেন যে তাদের ব্যবসা একমাত্র তখনই উন্নতি করবে, যখন তারা সময়ের কাজ সময়ে করবেন। সময়মত ক্রেতাদের চাতিদা পূরন করবেন। আপনার সার্ভিস বা পন্য গ্রহন করার জন্য যদি ক্রেতাদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়, তবে তারা বিরক্ত হয়ে অন্যের কাছে যাবেন। ২ দিনে ডেলিভারি দেওয়ার কথা বলে যদি ৫দিন লাগান। সেটা কোন ও ক্রেতাই ভালো চোখে দেখবেন না । এতে করে বাজারে আপনার সুনাম নষ্ট হবে। গ্রাহক বাড়ার বদলে দিনে দিনে কমতে থাকবে। অন্যদিকে যদি ব্যবসার সব কাজ সময়মত করেন, তবে তা বাজারে আপনার সুনাম সৃষ্টি করবেন। নতুন নতুন গ্রাহন আপনার পণ্য বা সেবা নিতে আগ্রহী হবে। কারণ আপনার সুন্দর টাইম ম্যানেজমেন্টের কারণে পুরাতন ক্রেতারাই নতুন ক্রেতার কাছে আপনাকে রিকমেন্ড করবেন। আর ক্রেতা বাড়া মানেই আপনার আয় বাড়া। 
০৪. কথা ও কাজে মিল রাখুন : 

ক্রেতাদের যা বলবেন , তারা যেন সেটাই পায়।  বিজ্ঞাপনে যা থাকবে, তার চেয়ে বেশি দিন। কোন ও ভাবেই কম দেবেন না । কথা ও কাজে এক না থাকলে আপনার ব্যবসার কোন ও দিন উন্নতি হবে না । সততার মূল্য সবখানেই আছে হয়তো সততার ফলাফল পেতে সময় লাগে, কিন্তু একবার পাওয়া শুরু হলে আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। 
আপনার কথার সাথে যদি সার্ভিসের মিল না থাকে, তবে একজন ত্রেতা একবার এসে আর আসবে না । সেই সাথে মুখে মুখে আপনার দুর্নাম ও ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে ব্যবসার প্রসার তো হবেই না । বরং দিন দিন কমতে থাকবে। অনেক বড় বড় কোম্পানী কোম্পানী শুধুমাত্র এই কারণে বাজারে টিকে থাকতে পারে নি। 
অন্য দিকে কথার সাথে যদি সার্ভিসের মিল থাকে--- তবে ক্রেতা তো ফিরে আসবেই , মানুষের মুখে মুখেই আপনার ব্যবসার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে--- যার ফলে অনেক নতুন নতুন ক্রেতা যোগ হবে। ফলে ব্যবসার আয়ে ‍ও দিন দিন বাড়তে থাকবে। 

আপনার যা নেই ---কখনও ই তা থাকার কথা বলবেন না । ক্রেতার সাথে সৎ থাকুন। আপনার ব্যবসারয় আয় কমার দিন দিন বাড়তেই থাকবে। 

০৫. সব সময়ে নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করুন :....


ফেসবুক সারাবিশ্ব জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ ,  এটি বিশ্বের সব ধরনের মানুষের চাহিদা বোঝে। আর এই চাহিদা বোঝার গুরুত্ব অনুধাবন করার পেচনে রয়েছে মার্ক জুকারবার্গ এর একটি দারুন অভ্যাস । তিনি নিয়মিত পৃথিবির বিভিন্ন জাতি ও তাদের সংস্কৃতি নিয়ে পড়াশুনা করেন। এর ফলে তিনি বুঝতে পারেন, কোন দেশের মানুষ ‍কি পছন্দ করে এবং তাদের আচার ব্যবহার কেমন । এভাবেই তিনি নিদিষ্ট ধরনের মানুষের জন্য নিদিষ্ট ধরনের সার্ভিস দিতে পারেন। একারণেই ফেসবুক বাংলাদেশে ও যেমন জনপ্রিয় , তেমনি নরওয়েতে ও জনপ্রিয় । কিন্তু দুটি দেশের মানুষের প্রায় কোন ও জায়গাতে মিল নেই। 

মানুষের চাহিদা সম্পর্কে জানা, নুতুন আইডিয়া চিন্তা করা ও কাজে লাগানো , ব্যবসারয় নতুন নতুন কৌশল কাজে লাগানো - এগুলো একটি ব্যবসাকে একটি ধারাবাহিক উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসে। ফলে ব্যবসার প্রসার হওয়ার পাশাপাশি আয় ও বাড়তে থাকে। 
 ০৬. ক্রেতার দের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রাখুন : 

আপনি  যে ব্যবসাই করেন না কেন, ক্রেতারাই তার প্রাণ। মানুষ যদি আপনার পন্য বা সেবা গ্রহন না করে---তবে সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হতে বাধ্য। 
সফল উদ্যোক্তারা নিয়মিত ভাবে ক্রেতাদের জন্য সময় দেন। আমাজন সেরা অনলােইন শপ হতে পারার একটি বড় কারণ এর অসাধারণ কাস্টোমার সার্ভিস। শুধুমাত্র কাস্টোমার সার্ভিস ভালো না হওয়ার কারণে অনেক ব্যবসাই ভালো পণ্য থাকার  পর ও সফল হতে পারেনি।  
ক্রেতাদের চাহিদা ও অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া, তাদের সাথে  নিয়মিত যোগাযোগ রাখা একটি ব্যবসার উন্নতির অন্যতম শর্ত। ৪ নাম্বার  পয়েন্ট বলেছি যে কথা ও কাজে মিল রাখলে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা  যায় , এবং তাদের মাধ্যমেই নতুন ক্রেতা আসে। এই ক্ষেত্রে ও ব্যাপার টা কাছাকাছি। ক্রেতাদের সাথে যদি ভালো সম্পর্ক থাকে। 
বর্তমান ক্রেতারা তো আপনার সাথে থাকবেই  ---- তারাই আপনার জন্য আরো ও নতুন ক্রেতা নিয়ে আসবেন। ফলে আপনার আয় ও দিনে দিনে বাড়তে থাকবে।

৭. সার্ভিসের  মান বাড়াতে খাকুন :

নতুন কোন ও ব্যবসা একটু ভালো করতে শুরু করলে অনেক  উদ্যোক্তা একটি চরম ভুল করে বসেন। যার ফলে ব্যবসা শেষ হয়ে যায়, অথবা একটা পর্যায়ে আসার পর আর উন্নতি হয় না। 
এমন অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা প্রথম দিকে খুব ভালো সার্ভিস মান বাড়াতে থাকুন। 
সাফল্যের পথে দ্বীপ্তমান পরিবার সব সময়ে আপনার সাথে আছে। 

No comments:

Post a Comment

Advertisement