বাবা- আমি ত আমার
ছেলেকে ভাল করেই চিনি।।আর সে কখনও কোনো ভুল করতেই পারে না।।কিন্তু আমি চাই তুমি
কাল থেকে বডিগার্ড নিয়ে কলেজে যাবে।।
আমি- বাবা আমি কোনো
বডিগার্ড নিতে পারব না।।আমি সাধারণভাবেই চলতে চাই।।তাই কোনো বডিগার্ড এর দরকার
নাই।।
বাবা- কিন্তু,,,
আমি- বাবা আর কোনো
কিন্তু নয় আমি আমার মতো থাকতে চাই।।
বাবা- ঠিক
আছে।।তোমার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই চলো।।কিন্তু কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবে।।আর শুনো
তোমার এইমাসের খরচ তোমার একাউন্ট এ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।।
আমি- আচ্ছা বাবা ঠিক
আছে।।কিন্তু আমার তো টাকার দরকার নাই।।
বাবা- এটা কোনো কথা
হলো,, যেটা দিয়েছি সেটা রাখো
আর যখন প্রয়োজন হবে তখন খরচ করবে।।আর কোনো কথা শুনিতে চাই না।।
আমি আচ্ছা বলে সেখান
থেকে চলে আসি।।পরে রুমে এসে কিছুহ্মণ রেস্ট নিলাম।।বিকেলে আড্ডাখানায় চলে
গেলাম।।সবাই মিলে আড্ডা দিতে দিতে রাত ১০টা বেজে গেলো।। তারপর বাসায় চলে এলাম,,এসে রাতের খাবার
খেয়ে রুমে চলে গেলাম।।কিছুহ্মণ পড়ার পরে ফেসবুকে ডুকলাম।।একটু ফেসবুকে ঘুরাঘুরি
করে গল্প পোস্ট করে ঘুমিয়ে গেলাম।।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।তারপর নিচে
গিয়ে নাস্তা করে নিলাম।।নাস্তা করার পর কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।কিছুহ্মণ পর
কলেজে পৌঁছে গেলাম।।গিয়ে দেখি সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে
আমিও সবার সাথে গিয়ে যোগদান করলাম।।কিছুহ্মণ আড্ডা দেওয়ার পর ক্লাসে চলে
গেলাম।।ক্লাস শেষ করে বের হওয়ার পর ইতির সব মিলে আমাকে ধরল যে আমাকে নাকি
আজকে তাদের খাওয়াতে হবে।।এদিকে সিয়ামও আজকে আসে নি।।বাকীগুলারা চলে গেল।।
ইতি বলছে ওদের মতো
এতটাকা আমার কাছে থাকে না।।কিন্তু তারা মানতে চাইছে না আর তারা ফুসকাও খাবে না
তাদেরকে রেস্টুরেন্ট এ খাওয়াতে হবে।।তারপর আর কি করার তাদেরকে খাওয়াতে নিয়ে
গেলাম।।সবাই মিলে ইতির গাড়ীতে উঠলাম।।গাড়ীতে উঠার সময় আমি ইতিকে একটা রেস্টুরেন্ট
এর নাম বললাম আর সেটাতে নিয়ে যেতে বললাম।।সেখানে যেতে যেতে সিয়ামকেও টেক্সট করে
বলে দিলাম চলে আসতে।।কিছুহ্মণ পর আমরা রেস্টুরেন্ট এ পৌঁছে গেলাম।।আমি ইতিকে শুধু
কানে কানে বলেছিলাম আমি বলার পরে ইতির ফ্রেন্ডরাও এই রেস্টুরেন্ট এ আসার কথা
বলল।।কিন্তু সে প্রথমে রাজী হতে চায় নি।।কিন্তু তার বান্ধবীরাও তাকে জোড় করে নিয়ে
গেলো।।তারপর আমরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে চলে গেলাম।।সেখানে গিয়ে একটা টেবিলে বসে
পড়লাম।।সবাই মিলে নিজেদের ইচ্ছামতো অর্ডার করছে।।কিন্তু ইতি কিছুই নিচ্ছে না দেখে
আমি ইতিকে বললাম- তুমি কিছু নিচ্ছো না কেন??আর টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।।সিয়াম।আসতেছে।।(কানে
কানে বললাম)তখন ইতি চোখ বড়বড় করে আমার দিকে তাকালো।। আমরা যাওয়ার সাথে সাথেই পুরা
রেস্টুরেন্ট ফাকা হয়ে গেলো।।সবাই আশ্চর্য হয়ে ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসা করল যে রেস্টুরেন্ট ফাকা
কেনো??তখন ম্যানেজার বলল
যে মালিকের ছেলে আর তার বন্ধুরা আসিবে বলে রেস্টুরেন্ট আপাদত বন্ধ।।তখন সবাই বলল তাহলে আমরা যে
আসলাম আমাদের তো বাধা দিলেন না।।ম্যানেজার বলল আপনাদের আসার পারমিশন আছে।।কিছুহ্মণ
পর সবার অর্ডারকৃত খাবার ওয়েটার টেবিলে দিয়ে গেলো।।সবাই নিজেদের মতো করে খেতে
লাগল।।তাদের খাবার খাওয়ার মাঝখানে সিয়াম চলে এলো।।রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার তাকে
স্বাগতম জানালেন।।পরে।সিয়াম এসে আমাদের সাথে যুক্ত হলো।।এসে এমনভাবে কথা বলতেছে
যেনো সে জানেই না আমরা এখানে আসব।।
সিয়াম- আরে ফাহিম,ইতি তোরা এখানে??আসবি তো আমাকে বললি
না যে।।
মেঘা(ইতির বান্ধবী)-
আরে তুই ত আসিস নি আজকে তাই বলতে পারি নি আর ফাহিম আমাদের সবাইকে খাওয়াবে।।তাই
ফাহিমকে নিয়ে আমরা এখানে আসলাম।।তা ম্যানেজার দেখলাম তোকে অনেক ভালোভাবে স্বাগতম
জানালো।।তা তুই এই রেস্টুরেন্টের মালিকিকে চিনিস নাকি।।
সিয়াম- আরে এটাতো
আমার বাবার বন্ধুর রেস্টুরেন্ট।। এটা ওনি ওনার ছেলের জন্য কিনেছেন।।আর উনি এই
দেশের মন্ত্রী+ বিখ্যাত ব্যবসায়ী।।
মেঘা- ইশ ওনার
ছেলেকে যদি দেখতে পেতাম।।
সিয়াম- তোদের সামনেই
তো বসে আছে দেখে নে।।সিয়ামের কথা শুনে আমি সিয়ামের দিকে তাকালাম।।
মেঘা- আমাদের সামনে
মানে??
সিয়াম- আরে সে দেখতে
কিছুটা ফাহিমের মতো।। চলাফেরাও ওর মতোই।। ফাহিমের মতো চলাফেরা করলেও সে কিন্তু
দেখতে সুদর্শন ও স্মার্ট।।এতো বড়লোক হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে কোনো অহংকার নাই।।
আমি- আচ্ছা তোরা কি
কথাই বলবি নাকি খাবিও।।
আমরা কথা বলতেছি এরই
মধ্যে মেঘা ওয়েটারকে ডাক দিয়ে বিল বানাতে বলল।। তখন ওয়েটার এসে বলল যে বিল পেমেন্ট
করা হয়ে গেছে।।তখন মেঘা বলল যে কে বিল দিয়েছে।। তখন ওয়েটার বলল যে মালিকের ছেলে
নাকি বিল দিয়ে গেছে।।
এটা শুনে সবাই অবাক
হয়ে গেলো।।
তখন সিয়াম বলল- অবাক
হওয়ার কিছুই নাই এটাতে খাবার আমাদের জন্য সবসময়ই ফ্রী।।
মেঘা- কেন??
সিয়াম- আমি আর ফাহিম
এইখানে প্রায়ই আসি
রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে।।আর ওনি বলে দিয়েছেন আমরা যদি আমাদের
বন্ধু-বান্ধবও নিয়ে আসি তাহলেও আমাদের থেকে যেনো কোনো টাকা না রাখে।।
কিন্তু ইতিকে দেখে
মনে হচ্ছে সে কথাটা বিশ্বাস করে নি।।তারপর আমরা সবাই রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে
নিজেদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।বাসায় ডুকতেই দেখি একটা নতুন বাইক
রাখা।।দেখেই বুঝলাম যে এটা আমার জন্য কেনা।।ভিতরে ডুকতেই বাবা হাতে বাইকের চাবি
দিয়ে বললেন যে এটা আমার নতুন বাইক।।
আমি- বাবা এটার কি
দরকার ছিলো।।তাও।আবার এতো দামি বাইক।।আমার কাছে ত আগে থেকেই একটা আছে যেটা আমি ব্যবহার
করি না বেশি।।
বাবা- এটা তোমার
জন্মদিনের উপহার ভুলে গেছো আজকে যে তোমার জন্মদিন।। যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।।তোমার
মা আজকে সব তোমার পছন্দের খাবার রান্না করেছে।।
আমি- বাবা আমি মাত্র
খেয়ে এসেছি।।এখন আবার কি করে খাব।।
বাবা- এটা তোমার মা
শুনলে খুব কষ্ট পাবে।।সকাল থেকে তোমার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করেছে।।
আমি- আচ্ছা আমি
ফ্রেশ হয়ে আসছি একটু অপেহ্মা করো।।তারপর আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।। ফ্রেশ হয়ে নিচে
এসে সবার সাথে বসে খাবার খেলাম।।পরে রুমে গিয়ে কিছুহ্মণ রেস্ট নিলাম।।সন্ধ্যায় ঘুম
থেকে উঠে সিয়ামকে বললাম সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে চলে আসতে।।আজকে আমি সবাইকে
খাওয়াবো।।
তারপর নতুন বাইক
নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।।কিছুহ্মণ পর রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম।। গিয়ে দেখি সবাই আগেই চলে
এসেছে।।আমি যাওয়ার পর সবাই অর্ডার দিতে লাগল।।তখন আমি রেস্টুরেন্টে থাকা
সকলকে উদ্দেশ্য করে বললাম যে আজকে আমার জন্মদিন উপলহ্মে যে যা চায় খেতে পারবে বিল
নিয়ে কোনো চিন্তা করার দরকার নাই।।
তারপর আমাদের খাবার
চলে এলো।।আমরা খেতে লাগলাম হঠাৎই অনুভব করলাম যে পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।। তাকিয়ে
দেখি ইতি দাঁড়িয়ে আছে।।তাকে দেখে আমি অবাকময় দৃষ্টিতে জিজ্ঞাসা করলাম যে,, এখানে কি করছে আর
আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে??
ইতি- আসলে বলো ত
তুমি কে??আসলেই কি তোমাকে
আমরা যা দেখি সেটাই তুমি নাকি অন্যকেউ??
আমি- কেন হঠাৎ তোমার
এমন কেনো মনে হচ্ছে??
ইতি- কিছুহ্মণ আগে
শুনলাম তুমি বললে যে আজকে তোমার জন্মদিন উপলহ্মে যে যা চায় খেতে পারে আর বিল তুমি
দিবে।।
আমি- আমি কখন বললাম
এটা তো সিয়াম বলেছে।।আর এখানে আমার বলে নি ফাহিমের বলেছিলো।। তাই না রে সিয়াম।।
সিয়াম- হ্যা আমিই ত
বলেছিলাম।।যত গরীবই হোক আমাদের বন্ধু ত আর আমরা তো বড়লোক তাই বন্ধুর জন্য এতটুকু
করতেই পারি।।ওই তোরা কি বলিস।।
সবাই- হ্যা ঠিক।।
আমি- তা তুমি একাই এসেছো নাকি??
ইতি- না বাবা,মাও এসেছে।।আর হে
শুভ জন্মদিন,, উপহার কালকে পেয়ে
যাবে ভার্সিটিতে।।
তারপর,,,
No comments:
Post a Comment